পরানগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, সাধারণ মানুষের অধিকার হরণের অভিযোগ

পরানগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, সাধারণ মানুষের অধিকার হরণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের পরানগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির লিটন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে সম্পত্তি সেবা প্রদান করছেন, অভিযোগে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
ময়মনসিংহ জেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) হুমায়ুন কবির লিটনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণের দাবি, ভূমি সেবা পেতে গেলে তাদেরকে অবৈধভাবে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের সংবিধানসম্মত অধিকার ক্ষুন্ন করছে।
ঘুষের দাবিতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ
ভূমি সেবা নেওয়ার জন্য জনগণ নানা ধরনের অস্বস্তি ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন। একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ঘুষ দিতে চাপ প্রয়োগ করেছেন, না হলে তাদের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
- আব্দুল কাদির: ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। তবে নায়েব হুমায়ুন কবির ৫,০০০ টাকা ঘুষ দাবি করলে, আবেদনের অনুমোদন পেতে দেরি হয়। পরবর্তীতে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে ১৭ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি অনুমোদিত হয়।
- হেলাল উদ্দিন: তার নামজারি আবেদনের পর নায়েব হুমায়ুন কবির ৫,০০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন, যা না দিলে তার আবেদন বাতিল করা হয়। পরে ঘুষ দিয়ে নতুন আবেদন করা হলে নামজারি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
- মোঃ আব্দুল হক: ৮,০০০ টাকা ঘুষ দেওয়ার পর তার নামজারি আবেদন গৃহীত হয়।
- মাজেদা খাতুন: তার নামজারির জন্যও ৬,০০০ টাকা ঘুষ প্রদান করতে বাধ্য হন।
- জরিনা হ্যারিস: তার নামজারিতে ১০,০০০ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছিল, যা না দিলে আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
- মোঃ মোক্তার হোসেন: প্রবাসী এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার নামজারিতে ১২,০০০ টাকা ঘুষ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও অপকর্ম
হুমায়ুন কবির লিটন সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়ের নাম ব্যবহার করে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এইভাবে তিনি দিনের পর দিন ঘুষ বাণিজ্য এবং অসাধু কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভূমি সেবায় শৃঙ্খলা আনার দাবি
ভূমি সেবা কার্যক্রমে এ ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের প্রচলন সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সব অনিয়ম দূর করে সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
