সিলগালা হওয়ার পরও দিন-রাত খোলা ‘চিল ব্রো’ রেস্টুরেন্ট: প্রশাসনের চোখে ধুলো, ক্ষুব্ধ শহরবাসী
Oplus_16908288

সিলগালা হওয়ার পরও দিন-রাত খোলা ‘চিল ব্রো’ রেস্টুরেন্ট: প্রশাসনের চোখে ধুলো, ক্ষুব্ধ শহরবাসী
স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহ শহরের বহুল আলোচিত “চিল ব্রো” রেস্টুরেন্টটি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিলগালা করা হলেও, চমকপ্রদভাবে দেখা যাচ্ছে—রেস্টুরেন্টটি এখনো দিন থেকে রাত পর্যন্ত পুরোপুরি খোলা রাখা হচ্ছে। এতে প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে শহরজুড়ে প্রশ্ন ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সচেতন নাগরিকরা জানান, “চিল ব্রো” রেস্টুরেন্টটি সিলগালা হওয়ার পরও প্রকাশ্যে গ্রাহক নিচ্ছে, খাবার বিক্রি করছে এবং একই সঙ্গে অনৈতিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে। এতে শুধু আইনের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং সমাজে একটি ভয়াবহ বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে—‘অবৈধ কাজ করলেও রক্ষা পাওয়া যায়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন বয়সী তরুণ-তরুণীর আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, “সিলগালা করার পরও যদি দিনরাত এমনভাবে খোলা থাকে, তাহলে প্রশাসনের অভিযান কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।”
ময়মনসিংহের ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক তার প্রতিবেদনে ‘চিল ব্রো’ রেস্টুরেন্টের অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। সেই রিপোর্টের পরদিন জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করলেও, পরবর্তীতে এভাবে পুনরায় চালু হওয়া প্রশাসনিক কার্যকারিতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সচেতন মহলের আহ্বান:
“চিল ব্রো” রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এবং এমন অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে স্থায়ী নজরদারি ও অভিযান চালু রাখতে হবে।
যে শহরে আইনকে অবহেলা করা হয়, সেখানে অনৈতিকতা ও অপরাধের বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়। সময় এসেছে সবাইকে একসাথে বলতে—
“চিল ব্রো নয়, চাই শুদ্ধ ময়মনসিংহ — নৈতিক, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শহর।”
