খুঁজুন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩২

বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

Oplus_131072

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও স্বস্তির পরিবেশে ঈদ ফেরত যাত্রীসেবা:
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।

ময়মনসিংহ, ৪ এপ্রিল:
ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ নিরলসভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরীর দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকায় বিআরটিএ ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইফফাত হাশেম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১০টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ (উনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্টে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পণ্যবাহী পিকআপ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে — আন্তঃজেলা পাটগুদাম ব্রিজ টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করেন।

মনিটরিং কার্যক্রমে দেখা যায়, অধিকাংশ বাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। বাস কাউন্টার ও যানবাহনগুলোতেও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

অভিযান চলাকালে বাস চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রমে তারা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করছেন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর দায়িত্ব পালনের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা ঈদ ফেরত যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।

বিআরটিএ’র এই তৎপরতা ঈদের পূর্ব থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ পরবর্তী সময়জুড়েও এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ঝিনাইগাতীতে র‍্যাব-১৪ এর অভিযানে ৬২ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
ঝিনাইগাতীতে র‍্যাব-১৪ এর অভিযানে ৬২ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 


ঝিনাইগাতীতে র‍্যাব-১৪ এর অভিযানে ৬২ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬২ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।

২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, রাত ২টা ৪৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৪ জানতে পারে, ঝিনাইগাতী থানার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে এক মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

সংবাদের সত্যতা যাচাই ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একই দিন রাত ৩টা ৩০ মিনিটে র‍্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোঃ মিজানুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে ৬২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩১ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের পর তাকে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাব-১৪ জানিয়েছে, সমাজকে মাদকমুক্ত করতে তাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

ভালুকায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ণ
ভালুকায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভালুকায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশে উজ্জীবিত কর্মীরা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ভালুকা উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কর্মী সমাবেশ অদ্য ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভালুকা উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভালুকা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হাতেম আলী খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দীন আহাম্মেদ, সারোয়ার জাহান ইমরান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি তারেকউল্লা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শ্যামল ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন:

  • দক্ষিণ জেলা শাখার সদস্য সচিব সংগ্রাম বর্মন
  • দক্ষিণ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল সাহা
  • মহানগর শাখার সদস্য সচিব উৎপল ভৌমিক
  • মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সনজিব দে, উত্তম দাস, জীবন কৃষ্ণ পাল এবং শতদল দাস।

সমাবেশে আরও যোগ দেন প্রিয় বড় ভাই ও মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান রিপন, মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাছান এবং দেবজ্যোতি দাস রাজীব।

বক্তারা বলেন, দেশের সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় ও ন্যায্য দাবির পক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। একইসাথে, বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

কর্মী সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত থেকে সমাবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত, মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়া! ময়মনসিংহে আকুয়া মড়লপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ বন্ধ, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ণ
শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত, মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়া! ময়মনসিংহে আকুয়া মড়লপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ বন্ধ, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

 


শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত, মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়া!
ময়মনসিংহে আকুয়া মড়লপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ বন্ধ, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আকুয়া মড়লপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ চার বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি, অরক্ষিত ভবনটি এখন মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এলজিইডির (LGED) অধীনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয় এবং ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। মেসার্স আয়ান এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার গোলাম মোস্তফার দায়িত্বে নির্মাণ কাজ এগোলেও ২০২০ সালের পর হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে অদ্যাবধি ভবনটির নির্মাণ কাজ আর শুরু হয়নি।

চরম অব্যবস্থাপনা: পাঠদানের মারাত্মক সংকট

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় স্কুলটির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩১৪ জন। অথচ পুরো স্কুলে মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ। স্থান সংকুলানের অভাবে একেকটি বেঞ্চে পাঁচজন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসতে বাধ্য হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

বিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী অফিস কক্ষও। সিঁড়ির জন্য নির্ধারিত স্থানেই অস্থায়ী অফিস কক্ষ বানিয়ে শিক্ষকরা কাজ চালাচ্ছেন। পুরনো ভবনটি এতটাই জরাজীর্ণ যে, দেয়াল থেকে নিয়মিত পলেস্তারা খসে পড়ছে। এর ফলে আগে একাধিকবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা এখনো থেকেই যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষকের আর্তি ও স্থানীয়দের ক্ষোভ

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল কবির বলেন,
“দীর্ঘদিন ধরে নতুন ভবনের কাজ বন্ধ থাকায় শিক্ষাদানে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। আমরা ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেই।”

স্থানীয় গণসাংস্কৃতিক সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,
“প্রাথমিক শিক্ষা দেশের ভিত্তি। অথচ বছরের পর বছর একটি স্কুল ভবন অসমাপ্ত পড়ে থাকছে, এটি গভীর দুঃখজনক। ঠিকাদার উধাও হলেই কি সব থেমে থাকবে? সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো কেন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না?” — প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থী নিরাপত্তা

অরক্ষিত ভবনটি এখন আশপাশের এলাকা থেকে আসা মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। ফলে স্কুলের পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন,
“আমাদের সন্তানরা শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। নতুন ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে শিক্ষার পরিবেশ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।”

তাদের দাবি, স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বলবে কি?