নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রব,প্রশাসনের নেই উদ্যোগ


Oplus_131072
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রব,প্রশাসনের নেই উদ্যোগ
এ এ এইচ সিয়াম, প্রতিনিধি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মশার কামড়ে অসুস্থ হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।ক্যাম্পাসের প্রায় সব জায়গাতেই মশার উপদ্রব লক্ষনীয়। আবাসিক হলের কক্ষগুলোতে সার্বক্ষণিক মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। গোসলে ঢুকলেও রক্ষা মেলে না মশার কামড় থেকে। টয়লেটে যেতে হলে সঙ্গে নিতে হয় মশার কয়েল। আড্ডা পয়েন্টগুলোতে মশার কামড়ে দিনের বেলায়ও স্থির হয়ে বসে থাকা যায় না। এছাড়া একাডেমিক ভবনের শ্রেণিকক্ষে বসাও দায় হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন এবং রাস্তাগুলোর পাশে পয়ঃনিষ্কাশনের নালায় জমে থাকা স্বল্পপানির সঙ্গে বর্জ্য মিশে মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কলা ভবন, খেলার মাঠ, ও সিঙ্গারা হাউজসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তূপে জমে থাকা বর্জ্যে মশা ভনভন করছে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মশা অত্যাধিক লার্ভা ছেড়ে বংশবিস্তার করছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে বিভাগ থেকে শুরু করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিশেষ করে রাতে মশার কামড়ে ঘুমানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের অবসান ঘটানো।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইয়াসিন বলেন,’ মশার উৎপাতে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এখন রমজান মাস চলছে, রাতে দ্রুত ঘুমাতে হয়। কিন্তু মশার উৎপাতে আমাদের জন্য বিভীষিকাময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘লাইব্রেরি, অগ্নিবীণা হল ও দোলন চাপা হলের কন্সট্রাকশন এলাকার আশপাশের জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আমরা অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু হল প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।’
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর বলেছেন ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় ভেবেছিলাম এটা মানুষের জন্য তৈরি করা একটা বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু এখানে এসে মনে হচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এটা মশার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে ঢুকলে মানুষের সাথে মোলাকাতহতে দেরি হতে পারে কিন্তু মশার সাথে মোলাকাতে দেরি হয় না। এমনকি হলের ডাইনিং এ খেতে গেলেও এক্সট্রা প্রোটিন হিসেবে পাওয়া যায় এই মশা। যে হারে এই মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কয়েকদিন পর ব্যাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলে যেতে হবে মানুষের বসবাসস্থলে।’
এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন,হল প্রশাসন ও পৌরসভার এর সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করে চেষ্টা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার সাথে কথা বলেছি তাদের ফান্ডে টাকা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখনই কিছু করা যাচ্ছে না।তবে দ্রুত তা সমাধান করা হবে।’
এ এ এইচ সিয়াম
প্রতিনিধি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
০১৫৮১০৯৩৪৮৬