ময়মনসিংহে পুলিশের অভিযানের সময় নিষিদ্ধ পল্লীর সভাপতি লাভলি হোসেন পালালেন, উদ্ধার ১১০০ লিটার মদ, গ্রেফতার ১৫
Oplus_16908288

ময়মনসিংহে পুলিশের অভিযানের সময় নিষিদ্ধ পল্লীর সভাপতি লাভলি হোসেন পালালেন, উদ্ধার ১১০০ লিটার মদ, গ্রেফতার ১৫
ময়মনসিংহ শহরের রমেশসেন রোড (নিষিদ্ধ পল্লী) এলাকায় কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় রহস্যজনকভাবে পালিয়ে গেছেন নিষিদ্ধ পল্লীর সভাপতি লাভলি হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে পরিচালিত এই অভিযানে পুলিশ ১,১০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাভলি হোসেন অভিযান শুরুর আগমুহূর্তেই এলাকা থেকে সরে যান। তাকে খুঁজে না পেয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, আগেই হয়তো অভিযানের খবর পেয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।
এ সময় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম নিজেই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। টানা এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চলে নিষিদ্ধ পল্লীর একাধিক বাড়িতে। বিশাল পরিমাণ মদ উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে।
নগরবাসীর মতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর এটিই সবচেয়ে বড় মাদকবিরোধী অভিযান। প্রায় ১১ মাস পর রমেশসেন রোড এলাকায় এমন অভিযান মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থানের প্রমাণ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং লাভলি হোসেনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
নগরবাসী বলছেন, ওসি শিবিরুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শহরে অপরাধ কমে এসেছে। ধারাবাহিক অভিযানে চিহ্নিত চোর, ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে কিংবা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে শহরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন,
“মাদক, চুরি ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনো অপরাধীর স্থান ময়মনসিংহে হবে না। নগরবাসীর সহযোগিতায় আমরা মাদকমুক্ত শহর গড়তে চাই।”
অভিযান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে নগরজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই দাবি করছেন—এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালালে নিষিদ্ধ পল্লীসহ পুরো শহরের চিত্র বদলে যাবে।
