ওএমএস চাল কালোবাজারি ও হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা প্রকাশ্যে, প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন

ওএমএস চাল কালোবাজারি ও হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা প্রকাশ্যে, প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ইমরান জামান বাবুকে ঘিরে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি আজও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বুক ফুলিয়ে ব্যবসাও পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৪ আগস্টের ঘটনায় ইমরান জামান বাবুর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে একাধিক ব্যক্তি আহত হন। সেই ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো তিনি দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন, যেন কিছুই হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালনের বদলে দুর্নীতি আর অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএস চালের একটি অংশ সামান্য পরিমাণে প্রকাশ্যে বিক্রি করে দেখান, আর বাকি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে প্রকৃত উপকারভোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এছাড়া জানা গেছে, তিনি একটি ক্লিনিক ব্যবসাও পরিচালনা করছেন যা তার অন্যতম আয়ের উৎস। একদিকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ, অন্যদিকে ওএমএস চালের কালোবাজারি—দুই দিক থেকেই একাধিক গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নীরবতা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন?
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নিরবতা শুধু হতাশাজনকই নয়, বরং বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই আরও গভীর করে তুলছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
