জনবল সংকটে সেবাবঞ্চিত ময়মনসিংহবাসী: কোতোয়ালি মডেল থানায় চাপ বেড়েই চলেছে

জনবল সংকটে সেবাবঞ্চিত ময়মনসিংহবাসী: কোতোয়ালি মডেল থানায় চাপ বেড়েই চলেছে
ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তার একমাত্র ভরসা কোতোয়ালি মডেল থানা। প্রতিদিন থানায় অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ এবং মামলার ভার সামলাতে হয় পুলিশকে। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় থানায় পর্যাপ্ত জনবল নেই। এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পর্যায়ে বহু পদ শূন্য থাকায়, যারা আছেন তাদের ওপর চাপ বেড়েই চলছে।
অভিযোগ নেওয়া, তদন্ত পরিচালনা কিংবা নিয়মিত মামলার কার্যক্রম চালাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়। অধিকাংশ সময় আসামি গ্রেপ্তারের জন্য নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে সোর্স নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু মামলা পরিচালনা বা অপরাধ দমনের পেছনে যে খরচ হয়, সে তুলনায় তারা পান না প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা।
বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে থানা পর্যায়ে জনবল ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। নাগরিকদের দাবি, ‘মডেল থানা’ হিসেবে কোতোয়ালিকে শুধু নামেই নয়, কাজেও মডেল হতে হবে। অথচ বাস্তব চিত্র হলো—প্রতিদিন সেবা প্রত্যাশীরা দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও সেবা পান না, আবার অনেক সময় সেবা না পেয়েই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়।
বিশিষ্টজন ও সচেতন নাগরিকদের মতে, কোতোয়ালি মডেল থানায় নতুন নিয়োগ, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও বাজেট বরাদ্দ ছাড়া জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি যারা কর্মরত, তাদের জন্য মানসিক ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা উচিত, যাতে তারা জনগণের পাশে থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারেন।
পুলিশ সদস্যরা যদি নিজের খরচে অপরাধ দমন করতে বাধ্য হন, তাহলে তা কেবল দায়িত্ব নয়, আত্মত্যাগও বটে। সুতরাং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি—অন্যথায় ‘মডেল থানা’র সাইনবোর্ড থাকলেও, সেবা থাকবে সংকটে।
প্রতিবেদন
কাগজের আলো
