চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে ক্লিনিক মালিকদের মানববন্ধন

চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে ক্লিনিক মালিকদের মানববন্ধন
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় বেসরকারি ক্লিনিক মালিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কয়েকদিন আগে শহরের শাপলা ক্লিনিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্লিনিক মালিককে মারধরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পর থেকে পুরো চরপাড়া এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার জেরে ক্লিনিক পাড়ায় নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা
মানববন্ধনে ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতারা জানান বেশ কিছুদিন ধরে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে দাবি পূরণ না হলে তারা ভাঙচুর ও শারীরিক হামলার হুমকি দেয় ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্লিনিকের মালিক হামলার শিকার হয়েছেন তাদের একজন হলেন শাপলা ক্লিনিকের মালিক যাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় এই ঘটনায় মামলা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে অভিযোগ মানববন্ধনকারীদের
মানববন্ধনে উপস্থিত ক্লিনিক মালিক ও সংশ্লিষ্টরা বলেন চিকিৎসাসেবা একটি সেবামূলক পেশা হলেও এখানে এখন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে তারা প্রশ্ন তোলেন এসব অপরাধীদের যদি রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ছত্রছায়া না থাকে তবে এখনো কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি
ক্লিনিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় তারা পূর্বেও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন কিন্তু প্রতিকার পাননি এবার যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে জেলার সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্লিনিক মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি শামসুদ্দোহা মাসুম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক পাপ্পু শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ব্যবসায়ী এবং কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
বক্তারা বলেন চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল তদবির চালিয়ে থাকে এর ফলে অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যায় এবং আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে তাই শুধু অপরাধীদের নয় তাদের পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা
মানববন্ধনের শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয় যেখানে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার নিরপেক্ষ তদন্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা
সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকেও এমন উদ্যোগকে সমর্থন জানানো হয় তারা বলেন একটি শহরে চিকিৎসাসেবা নিয়ে যদি সন্ত্রাসীরা খেলাধুলা করে তাহলে তা পুরো সমাজের জন্যই অশনি সংকেত প্রশাসন যদি এবারও ব্যর্থ হয় তবে নাগরিকরা একত্রে কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন অনেকে
এ ঘটনায় গোটা শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সচেতন মহল বলছে সময় থাকতে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে এবং আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটবে
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক কাগজের আলো
