ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা বিএনপির একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন: ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ।


ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা বিএনপির একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন: ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া
ময়মনসিংহ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (শুক্রবার):
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
ভাষা আন্দোলনের পটভূমি:
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলেও রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি নিয়ে শুরু হয় উত্তাল আন্দোলন। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত নিলে পূর্ব বাংলার জনগণ তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়, শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, শফিক, জব্বারসহ অনেকে। তাদের আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া
একুশের প্রথম প্রহরে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে সমবেত হন। সেখানে তারা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দেশ, মাতৃভাষা ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
বিএনপির নেতারা বলেন, “ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় জীবনের অনুপ্রেরণা। আমরা সর্বদা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকব।”
শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে একুশের চেতনা পুনর্জাগরণ:
মহানগর বিএনপির এই আয়োজন শুধু শ্রদ্ধা নিবেদনেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করার বার্তা দিয়েছে। নেতারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা মুক্ত চিন্তা, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এই চেতনাকে ধারণ করে ভাষা শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।