খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

আবারও সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে

বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
আবারও সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে

Oplus_131072

সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের ৩য় বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫-এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা পেলেন অল টাইম ক্রাইম নিউজ-এর নির্বাহী সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক

২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। হেমন্ত টিভি, দৈনিক হেমন্ত কাল এবং প্রাপ্তি ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) লিমিটেডের সৌজন্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছেন। বিশেষ করে অপরাধ অনুসন্ধানে তার নিরলস প্রচেষ্টা ও সাহসী রিপোর্টিং তাকে এ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। তার এ সম্মাননা প্রাপ্তি ময়মনসিংহের সাংবাদিক সমাজের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সত্য ও নির্ভীক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব, আর মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, তিনি ভবিষ্যতেও সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতার এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।

বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

Oplus_131072

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও স্বস্তির পরিবেশে ঈদ ফেরত যাত্রীসেবা:
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।

ময়মনসিংহ, ৪ এপ্রিল:
ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ নিরলসভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরীর দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকায় বিআরটিএ ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইফফাত হাশেম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১০টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ (উনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্টে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পণ্যবাহী পিকআপ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে — আন্তঃজেলা পাটগুদাম ব্রিজ টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করেন।

মনিটরিং কার্যক্রমে দেখা যায়, অধিকাংশ বাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। বাস কাউন্টার ও যানবাহনগুলোতেও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

অভিযান চলাকালে বাস চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রমে তারা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করছেন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর দায়িত্ব পালনের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা ঈদ ফেরত যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।

বিআরটিএ’র এই তৎপরতা ঈদের পূর্ব থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ পরবর্তী সময়জুড়েও এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

Oplus_16908288

ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ নেতা টেডন সালাম পিতা-পুত্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ শেষ, গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক

ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি, সাথী
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ত্রাস মো. আব্দুস সালাম ওরফে টেডন সালাম এবং তার ছেলে মোহাম্মদ নাছিম, সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগ ভবানীপুর ইউনিয়ন, এখন পলাতক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এ দুজনই এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দেয়।

দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল। সালাম ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বরবিলা বাজার ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি, যেখানে শিক্ষক নিয়োগ ও উন্নয়নের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

এছাড়াও লোহার শহর উচ্চ বিদ্যালয় কমিটিতেও প্রভাব বিস্তার করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, সরকারি রাস্তা নির্মাণ ও কাজি নিয়োগে লক্ষাধিক টাকার ঘুষ ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সালাম।

অভিযোগ রয়েছে, ত্রিশালের নিজ বাসায় তিনি এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন, যা পরবর্তীতে প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। ভবানীপুর দারোগাবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতির পদ হারানোর পর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী একাধিকবার হামলা চালায়।

এলাকাবাসীর দাবি, সালাম ও তার ছেলে নাছিমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে তারা দুজনই পলাতক। ফুলবাড়িয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন, এবং খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

বেগমগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৯৪ বোতল বিদেশী মদসহ যুবক গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ
বেগমগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৯৪ বোতল বিদেশী মদসহ যুবক গ্রেফতার

বেগমগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৯৪ বোতল বিদেশী মদসহ যুবক গ্রেফতার

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী:

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকায় ৯৪ বোতল বিদেশী মদসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার ( ২২ অক্টোবর ) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (২২)। এ সময় তার হেফাজত ও দেখানো মতে বসতঘর সংলগ্ন ডোবা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৯৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ইয়াছিন আরাফাতসহ পলাতক সহযোগীর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক নির্মূলে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ময়মনসিংহের চুরখাইয়ে অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহের চুরখাইয়ে অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

ময়মনসিংহের চুরখাইয়ে অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

মোঃ আব্দুল কাদের,
স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মোঃ কাওসারুল হাসান রনির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্তোষ রবিদাস (৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সন্তোষ রবিদাস ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাঁচারী পুকুরপাড় এলাকার মৃত ঘোনা রবি দাসের ছেলে বলে জানা গেছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ রবিদাস ওই এলাকায় গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম চুরখাই এলাকায় অবস্থান নেয় এবং অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে।
পরে উদ্ধারকৃত গাঁজা জব্দ করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, মাদকবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কঠোর নজরদারি ও ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।