খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২

বীরগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বীরগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
পরিবেশ সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আয়োজন করা হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী এক কর্মশালা।

৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করছে পরিবেশবান্ধব আন্তর্জাতিক সংগঠন Ecollab International।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাছনিম এই কর্মশালার অর্গানাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন কো-পার্টনার ইয়াশফি বিনতে আফজাল ও তাছকিয়া তানজিম। তাঁরা তিনজন মিলে বাস্তবায়ন করছেন সচেতনতা ভিত্তিক প্রজেক্ট ‘AshAlert’।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুবেল ইসলাম

কর্মশালার অর্গানাইজার
নিশাত তাছনিম জানান, ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে বৃদ্ধ, পথচারীর পাশাপাশি শিশুরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের সামনে প্রজেক্ট উপস্থাপনার পাশাপাশি প্যানেল আলোচনা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও পরিবেশ রক্ষা শিক্ষার্থীদের আরও উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষ রোপণ করা হয় যা শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করে তুলবে এবং বেশি বেশি গাছ লাগাতে উৎসাহিত করবে।

আয়োজকরা আশা করছেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইটভাটার ধোঁয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যেমন সচেতন হবে, তেমনি পরিবেশবান্ধব জীবনধারার চর্চায় এগিয়ে আসবে। দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের কার্যক্রম পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করছেন তারা।

বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

Oplus_131072

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও স্বস্তির পরিবেশে ঈদ ফেরত যাত্রীসেবা:
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।

ময়মনসিংহ, ৪ এপ্রিল:
ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ নিরলসভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরীর দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকায় বিআরটিএ ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইফফাত হাশেম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১০টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ (উনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্টে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পণ্যবাহী পিকআপ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে — আন্তঃজেলা পাটগুদাম ব্রিজ টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করেন।

মনিটরিং কার্যক্রমে দেখা যায়, অধিকাংশ বাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। বাস কাউন্টার ও যানবাহনগুলোতেও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

অভিযান চলাকালে বাস চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রমে তারা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করছেন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর দায়িত্ব পালনের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা ঈদ ফেরত যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।

বিআরটিএ’র এই তৎপরতা ঈদের পূর্ব থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ পরবর্তী সময়জুড়েও এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

বীরগঞ্জে গলায় ফাঁসি দিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু.

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে গলায় ফাঁসি দিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু.

Oplus_16908288

বীরগঞ্জে গলায় ফাঁসি দিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু.

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ, দিনাজপুর (প্রতিনিধি)দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নিজপাড়ার স্বর্গীয় নগেন্দ্র লাল মল্লিকের পুত্র শিবু রঞ্জন মল্লিক (৮৫). মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকা থেকে ৯ ঘটিকার মধ্যে তার নিজ বসত বাড়ির গোয়াল ঘরে বাঁশের তীরের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ওই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই থাকতেন।

প্রতিবেশী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বৃদ্ধ শিবু রঞ্জন মল্লিক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিল।

ঘটনার সময় তার সহধর্মিনী মোবাইলে ফোন করতে বাড়ির বাহিরে যায়, সুযোগ পেয়ে বৃদ্ধ সকলের অজান্তে তাদের গোয়াল ঘরে ঢুকে ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারসহ সুরতহাল রেকর্ড করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর ঘটনার সড্যতা নিশ্চিত করে বলেন এতদ্ব সংক্রান্ত থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।

ময়মনসিংহে জামিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব থেকে নতুন বিতর্ক: আওয়ামী প্রভাবের ছায়ায় ডিসি প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তেজনা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩২ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে জামিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব থেকে নতুন বিতর্ক: আওয়ামী প্রভাবের ছায়ায় ডিসি প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তেজনা

ময়মনসিংহে জামিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব থেকে নতুন বিতর্ক: আওয়ামী প্রভাবের ছায়ায় ডিসি প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তেজনা

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহে শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব এখন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিতর্কে রূপ নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে—স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনে ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে, যার লক্ষ্য মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব দখল।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগকে কেন্দ্র করে মাদরাসায় অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছানো যায়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের সক্রিয় সংশ্লিষ্টতা দেখা দিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

মাদরাসার একটি অংশ সরাসরি অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে পরিচালনা পর্ষদে তাদের ঘনিষ্ঠদের বসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মফিদুল আলম এ ঘটনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা না রেখে একপক্ষের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন।

এমন অভিযোগ তুলে ওই পক্ষ প্রকাশ্যে ডিসি’র অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং বলেছে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে, প্রশাসনিক সূত্র বলছে, জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং কোনো উস্কানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদরাসা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং গোটা পরিস্থিতি গোয়েন্দা তদারকির আওতায় আনা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাব বিস্তার দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। প্রশাসনকে এখন “দৃঢ়, স্বচ্ছ ও দলনিরপেক্ষ” অবস্থান নিতে হবে নইলে এ ঘটনার জেরে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, মাদরাসা প্রাঙ্গণে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারিতে আছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

 

ময়মনসিংহে প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রচার: পরিকল্পিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১৯ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রচার: পরিকল্পিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ

oplus_131074

ময়মনসিংহে প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রচার: পরিকল্পিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ

ময়মনসিংহের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে—এমন অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহঃ) মাদরাসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব নিরসনে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম নিজ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ সমঝোতা সভার আয়োজন করেন। সভায় উভয় পক্ষের প্রতিনিধি, ইসলামি আলেম ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা গঠিত হলে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং হাসিমুখে সভার সমাপ্তি ঘটে।

তবে সভা শেষে একপক্ষের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও তাদের সহযোগী চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার করতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে—গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে তারা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। অথচ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মহল এসব নিরপেক্ষ অবস্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড শুধু প্রশাসনকেই বিব্রত করছে না, বরং শান্তি ও শৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্ট করে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তাদের মতে, নিরপেক্ষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মানে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল করার প্রচেষ্টা।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানিয়েছে, অপপ্রচারের বিষয়টি নজরে এসেছে এবং এ নিয়ে আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—বিভ্রান্ত না হয়ে যাচাইকৃত ও প্রামাণ্য তথ্যের ওপর আস্থা রাখার জন্য।