“দুই লাখ টাকায় প্রেম বিক্রি? পরকীয়ায় যুবলীগ নেত্রী দিলরুবার নাম জড়ালো”

“দুই লাখ টাকায় প্রেম বিক্রি? পরকীয়ায় যুবলীগ নেত্রী দিলরুবার নাম জড়ালো”
ময়মনসিংহ প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা
কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মহিলা যুবলীগ নেত্রী দিলরুবা আক্তার। ভোটের মাঠে হেরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে আসেন এক চাঞ্চল্যকর পরকীয়া প্রেমকাহিনির কারণে।
দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা মহিলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা দিলরুবা আক্তারের
বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার বাসায় সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতে আসা তরুণ শিক্ষক রোমানকে প্রেমের জালে ফেলে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
এ সম্পর্ক এক সময় এতটাই গভীরে যায় যে চলতি জুলাই মাসের ১৩ তারিখে তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন কেওয়াটখালী রেলওয়ে স্কুলের শিক্ষিকা খালেদা ম্যাডামের বাসায়।
এলাকাবাসীর চোখে বিষয়টি ধরা পড়তেই ছড়িয়ে পড়ে নানা গুঞ্জন। অভিযোগ আরও গুরুতর হয় যখন জানা যায়, সম্পর্কের একপর্যায়ে রোমান থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এই লেনদেন ও সম্পর্কের রাফা-দফা হয় ব্রিজসংলগ্ন একটি দেশীয় খাবারের হোটেলে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে দিলরুবা আক্তার বলেন:
“আমি স্বাক্ষর করেছি ঠিকই, কিন্তু আমি কোনো টাকা নেইনি। আমি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রোমানের সাথে নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে ভাড়া বাসায় যাই। কিন্তু আজ সেটা বিসর্জন দিতে হয়েছে, কারণ রোমানেরও স্ত্রী-সন্তান আছে, আমারও আছে। সেই দিকটা ভুল বুঝে আমরা দু’জনই মিলে এই অবৈধ সম্পর্কের ইতি টেনেছি।”
তার এই বক্তব্যে বিষয়টি আরও জটিলতা ও সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। সম্পর্কের শেষে পরিণতি যা-ই হোক, প্রশ্ন উঠেছে একজন রাজনৈতিক নেত্রী কীভাবে এমন অনৈতিক সম্পর্কে জড়ালেন?
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দলীয় পরিচয়ে থাকা অবস্থায় এমন গোপন সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন ও সামাজিক অনৈতিকতার দায় কার? এমন প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৫
