“ময়মনসিংহের চরকালীবাড়ির শিক্ষক রায়হান ইসলামের ধর্ষণ কাণ্ড: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বিকৃত মানসিকতার ভয়ঙ্কর চিত্র

যখন ধর্ষক হয় একজন শিক্ষক – তখন ন্যায় শুধু দাবি নয়, প্রতিশোধও হয়ে ওঠে ন্যায্য।
শিক্ষক মানে শুধু পাঠদাতা নয়—তিনি একজন মানুষ গড়ার কারিগর, একজন আদর্শ, একজন আশ্রয়। তাঁর চোখে শিক্ষার্থীরা সন্তান, তাঁর কাছে সন্তানদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। কিন্তু যদি সেই শিক্ষকই হয়ে ওঠে এক শিশুর ভয়, এক ছাত্রীর দুঃস্বপ্ন—তবে সে আর শিক্ষক নয়, সে এক ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতক, এক ছদ্মবেশী শিকারি।
যখন একজন শিক্ষক ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয়, তখন তা শুধু আইন ভঙ্গ নয়—এটা একজন ছাত্রীর মানসিকতা, তার আত্মবিশ্বাস, তার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়। সমাজের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান—বিদ্যালয়, তখন রূপ নেয় আতঙ্কের কারাগারে। একটি পরিবার কেঁপে ওঠে, আর একটি জাতির বিবেক লজ্জায় মুখ ঢাকে।
এইসব ভণ্ড শিক্ষকদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।
তাদের জন্য কোনো দয়া নয়, কোনো ছাড় নয়।
শুধু আইনগত শাস্তি নয়, প্রয়োজন সামাজিকভাবে চিহ্নিত ও ঘৃণিত করে তোলা।
তারা যেন আর কখনো কোনো শিশুর কাছে ‘স্যার’ শব্দটি শুনতে না পারে।
একজন ধর্ষক শিক্ষক—তার শাস্তি হওয়া উচিত দৃষ্টান্তমূলক ও দ্রুত। যেন আর কেউ এই পথ বেছে নিতে সাহস না করে।
তাকে গ্রেফতার করলেই দায়িত্ব শেষ নয়—তার আসল পরিচয়, তার কুকর্ম, তার মুখোশ সবার সামনে উন্মোচন করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।
কারণ, একজন ধর্ষক যখন শিক্ষক হয়—তখন সে একটি শিশু নয়, একটি প্রজন্মকে ধর্ষণ করে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩২ নং চরকালীবাড়ি এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো: রায়হান ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।