খুঁজুন
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত।

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত।

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

নাগেশ্বরীতে শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ই মার্চ ২০২৫ইং রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এসএসবিসি প্রকল্পের স্ট্রেনদেনিং সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফের অর্থায়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ডাঃ মোঃ আউয়াল হোসেন বাবলু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য ও সমাজ সেবক মাহমুদুল হাসান স্বপন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বাবুল, সমাজ সেবক আলহাজ্ব ওমর ফারুক সহ আরো অনেকে। আরো বক্তব্য দেন এসএসবিসি প্রজেক্টের কমিউনিটি ফেসিলিটেটর মোঃ হান্নান মিয়া ও বাবুল চন্দ্র রায় ।
বক্তারা বলেন- বাল্যবিবাহ বন্ধে সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের কমিটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না – হাইকোর্টের রুল

বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের কমিটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না – হাইকোর্টের রুল

নির্বাচন ছাড়া কমিটি ঘোষণায় সাংবাদিকদের প্রতিবাদ, হাইকোর্টের নির্দেশে জবাব দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের

ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের বর্তমান অনির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন রুল জারি করেছে

হাইকোর্টের আদেশ

৯ মার্চ ২০২৫, বিচারপতি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান-এর বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৫-এর ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী এম এ মোতালেবের দায়ের করা রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

যাদের বিরুদ্ধে রুল জারি

হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ মার্চ ২০২৫-এর মধ্যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের জবাব দিতে বলা হয়েছে—

১. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব
2. ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি
3. ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম
4. সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়
5. সাবেক সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন
6. ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৫-এর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম

রিটকারীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই

নির্বাচন ছাড়াই কমিটি ঘোষণা, সাংবাদিকদের প্রতিবাদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ

২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি, কোনো ধরনের নির্বাচন বা ভোটগ্রহণ ছাড়াই সাবেক সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন

এই ঘোষণার প্রতিবাদে, একই দিন দুপুর ১২:৩০ থেকে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব সংস্কার কমিটির আহ্বানে শতাধিক সাংবাদিক ৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন

প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন

  • আহ্বায়ক মোঃ শামসুল আলম খান
  • মূখ্য সংগঠক শিবলী সাদিক খান

যুগ্ম আহ্বায়ক জহর লাল দে, আরিফ রেওগীর, আলমগীর কবির উজ্জ্বল, সুমন ভট্টাচার্য 

  • সাদেকুর রহমান,গোলাম কিবরিয়া পলাশ, আশিকুর রহমান মিঠু, সেলিম আকন্দ, সারোয়ার জাহান জুয়েল মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সহ আরও অনেকে

তাদের দাবি ছিল:
✅ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করতে হবে
✅ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনী উপকমিটির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে
✅ প্রেস ক্লাব সংস্কার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে

প্রতিবাদের সময় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, যৌথ বাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হনসহকারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ADM)-এর নেতৃত্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আশ্বাস উপেক্ষা করেই ৫ জানুয়ারি ২০২৫ নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকেই প্রেস ক্লাবের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়

হাইকোর্টের আদেশের পরবর্তী ধাপ

এই রুল জারির ফলে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে ২৩ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লিখিত জবাব দিতে হবে

যদি হাইকোর্ট বর্তমান কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে, তাহলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর ফলে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

সাংবাদিকদের একাংশ মনে করছেন, গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রেস ক্লাব পরিচালনা করা উচিত। তবে বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি

সাংবাদিকদের দাবি, প্রশাসনের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ করণীয়

সাংবাদিক নেতারা বলছেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্ব ছাড়া প্রেস ক্লাব পরিচালিত হতে পারে না। তারা আশা করছেন, আদালতের রায় স্বচ্ছ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আনবে

এদিকে, জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ প্রেস ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রশাসন যদি হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা না নেয়, তাহলে আবারও সাংবাদিকদের আন্দোলনের সম্ভাবনা রয়েছে

এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ের মাধ্যমে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব কীভাবে পরিবর্তন হয় এবং পরবর্তী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়


ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব | হাইকোর্টের রুল | সাংবাদিক আন্দোলন | গণতন্ত্র ও নির্বাচন

ময়মনসিংহে এনএসআই-এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান: অবৈধ ভারতীয় পণ্য ও যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টোর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান। 
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহে এনএসআই-এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান: অবৈধ ভারতীয় পণ্য ও যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার

ময়মনসিংহে এনএসআই-এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান: অবৈধ ভারতীয় পণ্য ও যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টোর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জে সি গুহ রোড, পুরাতন মেডিকেল গেট সংলগ্ন “জননী পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস” থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চুরাই (অবৈধ) কম্বল, থ্রি-পিস, নকল চুল ও যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই-এর নেতৃত্বে অভিযান

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), ময়মনসিংহ-এর তথ্যের ভিত্তিতে এবং তত্ত্বাবধানে র‍্যাব-১৪ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। ১৬ মার্চ ২০২৫, রাত ১১টা থেকে ভোর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের বিবরণ

অভিযানে পাওয়া যায়—
৫টি বড় বস্তা ভারতীয় চুরাই কম্বল
বিপুল পরিমাণ থ্রি-পিস ও অন্যান্য জামা-কাপড়
নকল চুলের প্যাকেট
কয়েক কার্টুন যৌন উত্তেজক ওষুধ

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব অবৈধ পণ্য “জননী পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস”-এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের প্রস্তুতি চলছিলো

আইনগত ব্যবস্থা

উদ্ধারকৃত সব মালামাল র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ-এর উপস্থিতিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

এনএসআই ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধ ভারতীয় পণ্য চোরাচালান ও যৌন উত্তেজক ওষুধের ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে

ময়মনসিংহে এক প্রভাবশালী পরিবারের চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও দুর্নীতির সাম্রাজ্য! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টোর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহে এক প্রভাবশালী পরিবারের চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও দুর্নীতির সাম্রাজ্য! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

Oplus_131072

ময়মনসিংহে এক প্রভাবশালী পরিবারের চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও দুর্নীতির সাম্রাজ্য! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

ময়মনসিংহের মাসকান্দায় গড়ে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ পরিবারের নেটওয়ার্ক। এই পরিবারের মূলহোতা আজহারুল ইসলাম, যার পিতা একসময় ডাকাত দলের সরদার ছিলেন, আর এখন ছেলে ভূমিদস্যুতার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। (more…)