খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৬ চৈত্র, ১৪৩১

গলা কাটা, পিঠ চিড়ে ফেলা শিশুটি কি ন্যায়বিচার পাবে? রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে?

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ
গলা কাটা, পিঠ চিড়ে ফেলা শিশুটি কি ন্যায়বিচার পাবে? রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে?

Oplus_131072

গলা কাটা, পিঠ চিড়ে ফেলা শিশুটি কি ন্যায়বিচার পাবে? রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে?

ময়মনসিংহের মাটি আজ রক্তে ভিজে গেছে। মাত্র ১০ বছরের এক শিশু—রাব্বি, নির্মমতার শিকার হয়েছে। তার কোনো অপরাধ ছিল না, ছিল না কোনো শক্তিশালী শত্রু। শুধু আশ্রয়হীন, দারিদ্র্যপীড়িত এক শিশু হওয়াই কি তার অপরাধ?

এক নির্মম হত্যাচেষ্টার গল্প—একটি শিশুর আর্তনাদ

রাব্বির গল্প শুনলে গা শিউরে ওঠে। জন্মের আগেই বাবার ছায়া হারিয়েছে, মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছে। নানা বাড়ির ছোট্ট এক খুপরিতে থাকত সে। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হতো—সানকিপাড়ার এক মুরগির দোকানে কাজ করত এইটুকু শিশুটি।

কিন্তু সেই শিশুটির কপালে যে আরও ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছিল, তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল?

ময়মনসিংহের আকুয়া বাইপাসে রাব্বিকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর?
তার গলা কেটে ফেলা হয়, ঠোঁট ছেদন করা হয়, পেট ও পিঠ চিড়ে দেওয়া হয়।
একজন মানুষ কতটা অমানুষ হলে মাত্র ১০ বছরের এক শিশুর ওপর এতটা নির্মমতা চালাতে পারে?

সে অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় রাব্বিকে। কিন্তু তার অবস্থা ছিল ভয়াবহ! শুধু গলাতেই ৪০টিরও বেশি সেলাই দিতে হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে? নাকি এ গল্প হারিয়ে যাবে?

আজ তার নানী শুধু নির্বাক হয়ে বসে আছেন। চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, কাঁদতেও পারছেন না। তাদের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব।

প্রশ্ন হলো, এই রাষ্ট্র কি তার দায়িত্ব নেবে? এই শিশুটির জীবন কি শুধুই একটা পরিসংখ্যান হয়ে যাবে? নাকি ন্যায়বিচারের হাত প্রসারিত হবে?

এই শিশুর চিড়ে ফেলা পিঠই আজকের বাংলাদেশ!

যদি এই নির্মমতার বিচার না হয়, তবে সমাজের প্রতিটি শিশু এমন বিপদের মুখে থাকবে। যারা এই নৃশংসতার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

মানবতার আহ্বান: আমরা কি চুপ থাকব?

যদি কেউ সাহায্য করতে চান, তবে আমাদের প্রিয় কবি শামীম আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করুন (ময়মনসিংহ ছোট বাজার)।

এ লড়াই শুধু রাব্বির নয়, এ লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অমানবিকতার বিরুদ্ধে।
আমরা চাই রাষ্ট্র দায়িত্ব নিক, সমাজ জেগে উঠুক, বিচার হোক, রাব্বির জীবন বাঁচুক!

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

সংগ্রামের পথ বেয়ে সফলতার শিখরে সৈয়দ মুহাম্মদ রুবেল

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১:২২ পূর্বাহ্ণ
সংগ্রামের পথ বেয়ে সফলতার শিখরে সৈয়দ মুহাম্মদ রুবেল

সংগ্রামের পথ বেয়ে সফলতার শিখরে সৈয়দ মুহাম্মদ রুবেল

জীবনের কঠিন বাস্তবতা অনেককে থামিয়ে দেয়, আবার কেউ কেউ সেই বাস্তবতাকে জয় করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যান। সৈয়দ মুহাম্মদ রুবেল তেমনই একজন মানুষ, যিনি একসময় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, আর আজ তিনি হাজারো মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা।

সংগ্রামের শুরু: নদীভাঙনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা

জন্মের পর থেকেই একের পর এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। যমুনা নদী ছয়বার তার বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে গেছে, পরিবারের দশ ভাই-বোনের মাঝে টিকে থাকার লড়াই ছিল প্রতিনিয়ত। জমিজমা হারিয়ে যখন সবকিছু অনিশ্চিত, তখন তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—সফল হতেই হবে!

শুরু হয় তার নিরলস অধ্যবসায়ের যাত্রা। কখনো রুমের বারান্দায়, কখনো মোবাইলের আলোয়, কখনো কাজের ফাঁকে, আবার কখনো চাঁদনী রাতে—এভাবেই তিনি চালিয়ে যান পড়াশোনা।

শিক্ষা ও কর্মজীবন: চাকরির মোহ থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন

তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ও এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে আইসিডিডিআরবি-তে প্রজেক্টের কাজে যুক্ত হন, এরপর প্রাইম ব্যাংকে চাকরি করেন। কিন্তু তার লক্ষ্য ছিল চাকরির পরিবর্তে কর্মসংস্থান তৈরি করা।

তিনি ব্যবসা শুরু করলেও প্রথমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েন। উপায় না দেখে আবারও চাকরিতে ফিরে যান। দুই বছর কাজ করার পর পুনরায় ব্যবসার পথে নামেন। শুরুতে আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে উপহাস ও অবহেলা পেলেও ধীরে ধীরে তার উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখতে শুরু করে।

প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা: ছয়টি কোম্পানি ও হাজারো কর্মসংস্থান

করোনা মহামারির ভয়াবহ সময়ে যখন অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে একে একে তিনটি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করেন। বর্তমানে তার ছয়টি কোম্পানি রয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান পেয়েছে অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে গ্রাম ও চরাঞ্চলের মেধাবী তরুণরা, যারা আর্থিক কারণে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারছিল না।

মানবসেবার অঙ্গীকার: ফিরোজা-বাছেদ মাষ্টার ফাউন্ডেশন

নিজের সফলতার পাশাপাশি তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ফিরোজা-বাছেদ মাষ্টার ফাউন্ডেশন”, যার মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করা হয়। বিশেষ করে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তি হলেও আর্থিক সংকটে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না, তাদের পাশে দাঁড়ায় এই ফাউন্ডেশন।

এছাড়াও, কুরআন, হাদিস বিতরণ, মসজিদের খাটিয়া, ওজুখানা নির্মাণ, কাফনের কাপড় বিতরণ, লাশ পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করাসহ নানা সামাজিক ও ধর্মীয় সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।

ভ্রমণপ্রিয়তা ও লেখালেখির নেশা

বিশ্ব দেখার ইচ্ছা থেকেই তিনি এখন পর্যন্ত ৩৩টি দেশ এবং বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশ ঘুরে দেখার ইচ্ছে রয়েছে তার।

লেখালেখির প্রতিও তার তীব্র আগ্রহ রয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত ৬টি উপন্যাস, ৩টি ইতিহাসভিত্তিক গ্রন্থ ও ১২টির বেশি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। তার অন্যতম আগ্রহের বিষয় হলো হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও ইতিহাস অনুসন্ধান।

মানুষের জন্য কাজ করার ব্রত

সৈয়দ মুহাম্মদ রুবেলের বিশ্বাস, “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য”—এই মূলমন্ত্র হৃদয়ে ধারণ করেই তিনি চলতে চান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান, যাতে তার মতো কেউ কখনো হেরে না যায়, কেউ দারিদ্র্যের কাছে মাথা নত না করে।

তিনি আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছেন, তা সহজ ছিল না। কিন্তু কঠিন পরিশ্রম, অধ্যবসায়, এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছাই তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তার জীবন আমাদের শেখায়—সত্যিকার ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব।

ত্রিশালের শ্রমিক লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের প্রকাশ্য দাপট: সন্ত্রাস, জমি দখল ও অপপ্রচারে সক্রিয় থাকার অভিযোগ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিং বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
ত্রিশালের শ্রমিক লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের প্রকাশ্য দাপট: সন্ত্রাস, জমি দখল ও অপপ্রচারে সক্রিয় থাকার অভিযোগ

ত্রিশালের শ্রমিক লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের প্রকাশ্য দাপট: সন্ত্রাস, জমি দখল ও অপপ্রচারে সক্রিয় থাকার অভিযোগ

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাবেক এমপি এমএ আনিছুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জাতীয় শ্রমিক লীগ ত্রিশাল শাখার সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জমি দখল এবং নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলেও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গত ৩ আগস্ট, জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে তিন ট্রাকভর্তি নেতাকর্মী নিয়ে ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরাসরি সাগর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এতকিছুর পরও ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন, অথচ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এছাড়াও, জয়নাল আবেদীন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেহেদী হাসান আরিফ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে গত সাত মাস ধরে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ময়মনসিংহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা

ময়মনসিংহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা

পবিত্র রমজান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শহরসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষভাবে, অজ্ঞান ও মলম পার্টি প্রতিরোধে একাধিক টিম মাঠে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের।

মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পুলিশের পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশের উপস্থিতি থাকবে। জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, ঈদের সময় শহরের ব্যাংক, অফিস-আদালত, শপিংমল সহ জনসমাগমের স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নারী ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য নারী পুলিশ মোতায়েন করা হবে বিশেষ করে মার্কেটগুলোতে, যাতে পকেটমার, ইভটিজিং এবং নারীদের হয়রানি রোধ করা যায়। এছাড়া, মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং যানবাহনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার আখতার উল আলম বলেন, ‘‘জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গভীর রাত পর্যন্ত নৈশ টহল ব্যবস্থা রাখবো। একই সঙ্গে, শপিংমলগুলোর সামনে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, এবং জনসাধারণকে বড় অংকের অর্থ পরিবহনে পুলিশের সহায়তা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।’’

এভাবে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ ঈদ এবং রমজান মাসে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৎপর থাকবে এবং শহরবাসী যেন নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।