গলা কাটা, পিঠ চিড়ে ফেলা শিশুটি কি ন্যায়বিচার পাবে? রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে?

Oplus_131072
গলা কাটা, পিঠ চিড়ে ফেলা শিশুটি কি ন্যায়বিচার পাবে? রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে?
ময়মনসিংহের মাটি আজ রক্তে ভিজে গেছে। মাত্র ১০ বছরের এক শিশু—রাব্বি, নির্মমতার শিকার হয়েছে। তার কোনো অপরাধ ছিল না, ছিল না কোনো শক্তিশালী শত্রু। শুধু আশ্রয়হীন, দারিদ্র্যপীড়িত এক শিশু হওয়াই কি তার অপরাধ?
এক নির্মম হত্যাচেষ্টার গল্প—একটি শিশুর আর্তনাদ
রাব্বির গল্প শুনলে গা শিউরে ওঠে। জন্মের আগেই বাবার ছায়া হারিয়েছে, মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছে। নানা বাড়ির ছোট্ট এক খুপরিতে থাকত সে। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হতো—সানকিপাড়ার এক মুরগির দোকানে কাজ করত এইটুকু শিশুটি।
কিন্তু সেই শিশুটির কপালে যে আরও ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছিল, তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল?
ময়মনসিংহের আকুয়া বাইপাসে রাব্বিকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর?
তার গলা কেটে ফেলা হয়, ঠোঁট ছেদন করা হয়, পেট ও পিঠ চিড়ে দেওয়া হয়।
একজন মানুষ কতটা অমানুষ হলে মাত্র ১০ বছরের এক শিশুর ওপর এতটা নির্মমতা চালাতে পারে?
সে অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় রাব্বিকে। কিন্তু তার অবস্থা ছিল ভয়াবহ! শুধু গলাতেই ৪০টিরও বেশি সেলাই দিতে হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্র কি তার পাশে দাঁড়াবে? নাকি এ গল্প হারিয়ে যাবে?
আজ তার নানী শুধু নির্বাক হয়ে বসে আছেন। চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, কাঁদতেও পারছেন না। তাদের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব।
প্রশ্ন হলো, এই রাষ্ট্র কি তার দায়িত্ব নেবে? এই শিশুটির জীবন কি শুধুই একটা পরিসংখ্যান হয়ে যাবে? নাকি ন্যায়বিচারের হাত প্রসারিত হবে?
এই শিশুর চিড়ে ফেলা পিঠই আজকের বাংলাদেশ!
যদি এই নির্মমতার বিচার না হয়, তবে সমাজের প্রতিটি শিশু এমন বিপদের মুখে থাকবে। যারা এই নৃশংসতার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানবতার আহ্বান: আমরা কি চুপ থাকব?
যদি কেউ সাহায্য করতে চান, তবে আমাদের প্রিয় কবি শামীম আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করুন (ময়মনসিংহ ছোট বাজার)।
এ লড়াই শুধু রাব্বির নয়, এ লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অমানবিকতার বিরুদ্ধে।
আমরা চাই রাষ্ট্র দায়িত্ব নিক, সমাজ জেগে উঠুক, বিচার হোক, রাব্বির জীবন বাঁচুক!