খুঁজুন
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র, ১৪৩১

নিউমার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:২৫ অপরাহ্ণ
নিউমার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

নিউমার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের নিউ মার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে আপত্তি জানিয়েছেন খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবসায়ীরা। শতাধিক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় এ আপত্তি। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউসুফ আলী লিখিত আপত্তিতে জানা গেছে ১৯৭৭ সাল থেকে জেলা শহরের নিউ মার্কেট বাজারে খুচরা মাছের ব্যবসা করে আসছে। মাছ বাজারটির দক্ষিণে রয়েছে গরু-খাসির মাংসের বাজার, কাঁচা সবজি বাজার, মুদি পণ্যের দোকান। ভোক্তা খুব সহজেই মাছ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে পারছিলেন। কিন্তু সম্প্রীতি খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা জানতে পারে নিউ মার্কেটের বর্তমান মাছ বাজার টি জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ের পানির টাংকির মাঠে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এমনটি হলে নিউ মার্কেটের শতাধিক খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মুকুল রহমান জানিয়েছেন জেলার ভোক্তাদের জীবনযাত্রার সুবিধার্থে মাছ বাজার স্থানান্তরে আপত্তি জানানো হয়েছে। মাছ বাজার স্থানান্তর করা হলে মহা বিপদে পড়েবেন ভোক্তারা। তিনি আরও বলেন নিউ মার্কেটে একজন ভোক্তা কাঁচা সবজি ও মুদি সামগ্রী সহজেই ক্রয় করতে পারছিলেন। তবে মাছ বাজারটি স্থানান্তরিত হলে মাছ কিনতে যেতে হবে প্রায় ১ কিলোমিটার। ফলে ভোক্তাদের ব্যয় বেড়ে যাবে। যে স্থানে মাছ বাজার করা হচ্ছে সেটি জনবহুল এলাকা নয়। বর্তমান নিউ মার্কেটের মাছ বাজারটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে। এ মাছ বাজার স্থানান্তর হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে চাঁপাইবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ জানান, জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাইকারি মাছ বাজারটির কারনে সাধারণ মানুষসহ অফিস আদালতে চলতে ফিরতে অসুবিধা হচ্ছিল। এ ব্যস্ত এলাকা থেকে মাছ বাজারটি আউটসাইডে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতদিনে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় শেষ হয়েছে। তবে এখনো কাজ শুরু হয়নি। যে স্থানে কাজ শুরু হবে সেখানে বেশ কিছু সরকারি গাছ রয়েছে। গাছ গুলো কেটে ফেলার জন্য গভমেন্টের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে এপ্রুভ আসলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। উক্ত মাছ বাজারটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ময়মনসিংহের “নিউ রূপ মহল আবাসিক হোটেল”-এ র‍্যাব ওএনএসআই এর অভিযান: মাদকসহ আটক ৭

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহের “নিউ রূপ মহল আবাসিক হোটেল”-এ র‍্যাব ওএনএসআই এর অভিযান: মাদকসহ আটক ৭

Oplus_131072

ময়মনসিংহের “নিউ রূপ মহল আবাসিক হোটেল”-এ র‍্যাব ওএনএসআই এর অভিযান: মাদকসহ আটক ৭

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), ময়মনসিংহ-এর তথ্য ও তত্ত্বাবধানে র‍্যাব-১৪ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাত ১১:০০ থেকে ০১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত এই অভিযানটি ময়মনসিংহ শহরের রেলওয়ে স্টেশন রোডের “নিউ রূপ মহল আবাসিক হোটেল”-এ পরিচালিত হয়।

অভিযানে হোটেলের পাঁচটি কক্ষ থেকে পাঁচজন নারীকে এবং একটি কক্ষ থেকে দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন—
১. তানভীর রায়হান (আসলাম)
২. রিয়াজ

তদন্তে উঠে আসে, আটককৃত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এই হোটেল থেকে মাদক সরবরাহ ও অবৈধ দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অভিযানের সময় তারা কক্ষে অবস্থান করে দরজা বন্ধ রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দরজা ভাঙার উদ্যোগ নিলে তারা বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করে।

আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা ৩,০০০ পিস ইয়াবা টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়। অভিযান শেষে র‍্যাব-১৪-এর কমান্ডার শামসুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনাটি তুলে ধরেন।

বিতর্ক ও তত্ত্ববাদ

এই অভিযানের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে নানা তত্ত্ববাদ ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, মাদক কারবারিরা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে দীর্ঘদিন ধরে এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল, কিন্তু প্রতিযোগী গোষ্ঠীর চাপে পড়ে ধরা পড়েছে। আবার কেউ বলছেন, যেখানে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা না পড়ে শুধুমাত্র ছোটখাট দালালদের ধরা হয়েছে। ক্রাইম রিপোর্টার  ও এনএসআই নজরদারিতে এই সফল অভিযান হয়েছে বলেও অনেকেই মনে করছেন।

এদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, “নিউ রূপ মহল আবাসিক হোটেল” দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল, কিন্তু যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এটি অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়।

আটককৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই অভিযান সত্যিকার অর্থে অপরাধ দমন করবে নাকি শুধুমাত্র চুনোপুঁটিদের ধরেই সীমাবদ্ধ থাকবে—সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

ফজলুল হক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৩:২০ পূর্বাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

ঢাকা, ২০ মার্চ ২০২৫:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজ চারটি পৃথক স্থানে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, গোপালগঞ্জ, বগুড়া ও মাদারীপুরে পরিচালিত এসব অভিযানে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডার জালিয়াতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের মতো অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বিটিভিতে অর্থের বিনিময়ে শিল্পী তালিকাভুক্তি ও ভুয়া বিলের অভিযোগ

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এক অভিযানে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে অর্থের বিনিময়ে ১,৭৯১ জন শিল্পী তালিকাভুক্তি, একই অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করে নতুন বিল উত্তোলন এবং প্রকল্পে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং প্রাথমিক পর্যালোচনায় বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পায়। বিল-ভাউচার সংক্রান্ত নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ!

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিশেষ বরাদ্দের ৭৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ অভিযান পরিচালনা করে। তদন্তে ৫টি প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে:

১. উত্তর আটাশীবাড়ী কবরস্থান – প্রকল্পের টাকা দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভরাট।
2. উত্তর আটাশীবাড়ী হেফজোখানা – যেখানে প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে, সেখানে কোনো হেফজোখানা নেই।
3. ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় – সামান্য মাটি ফেলে বরাদ্দের বড় অংশ আত্মসাৎ।
4. গাবভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – আংশিক কাজ করেও অধিকাংশ অর্থ লোপাট।
5. শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয় – সামান্য কাজ করেও বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ।

এই অনিয়মে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।

বগুড়ায় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে অনিয়ম

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি কর্তৃক বগুড়ায় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদক জেলা কার্যালয়, বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে। টিম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন করে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বিশ্লেষণের পর কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

মাদারীপুরে সরকারি ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের “সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন” নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর অভিযান পরিচালনা করে। সরেজমিন পরিদর্শন ও নথিপত্র বিশ্লেষণে অনিয়মের বেশ কিছু প্রমাণ মেলে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণসহ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

দুদকের এই ধারাবাহিক অভিযানে সরকারি অর্থের অপচয় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত মিলেছে। কমিশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গুরুত্বপূর্ণ চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত

ফজলুল হক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৩:১২ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গুরুত্বপূর্ণ চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গুরুত্বপূর্ণ চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত

ঢাকা, ২০ মার্চ ২০২৫:
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষা, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, পরিত্যক্ত বাড়ির নামজারি এবং অতিরিক্ত ছুটির ঘোষণা।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সংশোধনী
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী পাস করা হয়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে আইন আরও কঠোর ও বাস্তবসম্মত করা হয়েছে, যা নারীদের সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ
সরকারি ক্রয় বা প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। টেন্ডার প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ শতাংশ কম হলে তা বাতিলের নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পূর্বের কাজের মূল্যায়ন ম্যাট্রিক্স পরিবর্তন করে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স প্রণয়ন করা হবে, যাতে একক প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ না পায় এবং সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়। বর্তমানে ৬৫% টেন্ডার অনলাইনে হয়ে থাকে, তবে এটিকে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিত্যক্ত বাড়ির নামজারি প্রক্রিয়া সহজীকরণ
এতদিন পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা নিজের নামে নামজারি করতে পারতেন না। এই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যা সংশ্লিষ্টদের জন্য স্বস্তির বিষয় হয়ে উঠবে।

ঈদ ও চৈত্র সংক্রান্তির অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা
জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩ এপ্রিল ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, চৈত্র সংক্রান্তির দিন তিন পার্বত্য জেলায় নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটির আওতায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, জৈন্তাসহ অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রা সহজতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সরকার।