খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র, ১৪৩১

৩নং ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১:৩০ অপরাহ্ণ
৩নং ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা

৩নং ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা

ময়মনসিংহের তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদার ৩নং ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জনগণের সেবা করার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি নিরলসভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদার ভরাডোবা ইউনিয়নসহ সারাদেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ঈদ হলো আনন্দ ও ভ্রাতৃত্বের উৎসব। আসুন, আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। আমার প্রিয় ইউনিয়নবাসীর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের আস্থা ও সমর্থন পেলে ভরাডোবা ইউনিয়নের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবো।”

স্থানীয় জনগণের মধ্যে তার প্রার্থীতা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাকে তরুণ, দক্ষ এবং জনগণের পাশে থাকা একজন নেতা হিসেবে দেখছেন।

ভরাডোবা ইউনিয়নের উন্নয়নে অঙ্গীকার

মোহাইমিনুল ইসলাম তালুকদার তার নির্বাচনী প্রচারণায় ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং কৃষকদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

তিনি ইউনিয়নবাসীর কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে বলেন, “আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেলে আমি ভরাডোবা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করবো।


 

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক হেলাল মড়ল: বিএনপির প্রতি চার দশকের অবিচল ভালোবাসা

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ণ
ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক হেলাল মড়ল: বিএনপির প্রতি চার দশকের অবিচল ভালোবাসা

Oplus_131072

ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক হেলাল মড়ল: বিএনপির প্রতি চার দশকের অবিচল ভালোবাসা

ময়মনসিংহ শহরের আদমজী পাট গুদামের এক টকটকে যুবক হেলাল মড়ল। ছাত্রজীবনে কালিবাড়ি পুরাতন স্কুলে পড়াশোনা করা হেলাল মড়ল ব্রি ক্যাডেট স্কুল (বর্তমানে প্রিমিয়াম স্কুল) থেকে শিক্ষা লাভ করেন। রাজনীতির প্রতি তার অনুরাগ জন্মেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ময়মনসিংহ আগমনের দিন, যখন তিনি সরাসরি তার সাথে হাত মেলানোর সুযোগ পান। সেই মুহূর্তেই তার মনে দেশপ্রেমের এক নতুন আলো জ্বলে ওঠে, যা তাকে আজ অবধি বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী করে রেখেছে।

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির অঙ্গনে

হেলাল মড়ল ছাত্রজীবনেই বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সাথে যুক্ত থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি নেন। তখন থেকেই তিনি বিশ্বাস করতেন, রাজনীতিই সমাজ পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম।

বিএনপির প্রতি অবিচল আস্থা

Oplus_131072

ছাত্রজীবন শেষে তিনি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দেন এবং রফিকুল শামীমের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এরপর বিএনপির দুঃসময়ে তিনি ছিলেন এক অবিচল কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন, তবুও দল ছাড়েননি। একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমনকি রাতে নিজ বাসায় পর্যন্ত থাকতে পারেননি।

অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে দলে ভেড়ানোর জন্য নানান লোভনীয় প্রস্তাব দিলেও তিনি বিএনপির প্রতি তার আস্থা অটুট রেখেছেন। বিএনপি তার আবেগের জায়গা, আদর্শের স্থান।

শহরের প্রভাবশালী আকন্দ পরিবারের সঙ্গে রাজনীতি

বর্তমানে হেলাল মড়ল ময়মনসিংহ শহরের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা এবং তিনি শহরের আকন্দ পরিবারের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করে আসছেন। আকন্দ পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় শহরের রাজনীতিতে তার অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। এই পরিবারের সঙ্গে থেকে তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিএনপিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

Oplus_131072

ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতা

চার দশক ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও হেলাল মড়লের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দখলদারিত্ব বা অনিয়মের কোনো অভিযোগ নেই। রেলের মোড় ও আদমজী পাট গুদামের এলাকায় তিনি একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে পরিচিত। দল ও জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করলেও নিজের স্বার্থের জন্য কখনো কিছু চাননি।

বিএনপির প্রতি প্রত্যাশা

দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে তিনি আশা করেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা এবার তাদের যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন। হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকিয়ে প্রকৃত কর্মীদের সম্মানিত করা হবে। বিএনপির দুঃসময়ে যারা পাশে ছিল, তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ

হেলাল মড়ল মনে করেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে বিএনপির বিকল্প নেই। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরে এসে নেতৃত্ব দেবেন।

চার দশকের রাজনীতির পথচলায় হেলাল মড়ল আজও বিএনপির প্রতি অবিচল। তার ত্যাগ ও নিষ্ঠার যথাযথ মূল্যায়ন হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নান্দাইলে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে হত্যা

আব্দুল মান্নান আল আজাদ, নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
নান্দাইলে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে হত্যা

Oplus_131072

পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে হত্যা

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি গ্রামে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হামলায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল মোমেন (৬৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টি.আর প্রকল্পের আওতায় নান্দাইল রোড ভেড়া থেকে মমিন বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণাধীন একটি রাস্তা কাটতে চাইছিলেন চাচাতো ভাই আশরাফুল। এতে আবদুল মোমেন বাধা দিলে আশরাফুলের নেতৃত্বে তার স্ত্রী বিউটি, সবুজ ও নুরুজ্জামান মিলে তার ওপর হামলা চালায়। কিল-ঘুষি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে আবদুল মোমেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নান্দাইল থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

স্টাফ রিপোর্টার :
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ময়মনসিংহ জেলা কর্তৃক দোয়া ও ইফতার মাহফিল ১৭ ই রমজান (১৮ মার্চ ২০২৫)মঙ্গল বার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর [সার্কিট হাউজ সংলগ্ন), ১নং আবুল মনসুর সড়কে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আইডিইবি অফিসে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী রুহুল আমীন, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী আরজু, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম প্রমূখ ।

আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম উজ্জল ।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ডিইএব মহানগর ময়মনসিংহ ।