বি এন পি র নাম ব্যবহার করে বওলা বাজারে রাজত্ব চালাচ্ছে বাবা-ছেলে! রাজীব ব্যাটারি হাউজের নামে প্রতারণা ও ছিনতাই অভিযোগ

Oplus_131072
বওলা বাজারে রাজত্ব চালাচ্ছে বাবা-ছেলে! রাজীব ব্যাটারি হাউজের নামে প্রতারণা ও ছিনতাই অভিযোগ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে রাজীব ব্যাটারি হাউজের মালিক আব্দুল কাদির ফকির ও তার দুই ছেলে রাজীব ও সজীবের বিরুদ্ধে। নিজেদের বিএনপি নেতা দাবি করা এই পরিবার ব্যবসার আড়ালে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
📌 প্রতারণার ফাঁদ: দুই বছরের গ্যারান্টির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি
✅ সাধারণত ইজিবাইকের ব্যাটারির ওয়ারেন্টি ৬ মাস থাকে। কিন্তু রাজীব ব্যাটারি হাউজ দাবি করে, তারা ২ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি দেয়!
✅ ক্রেতারা ব্যাটারি কেনার পর যখনই সমস্যার জন্য সার্ভিস নিতে যান, তখন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, কখনো কখনো গায়ে হাতও তোলা হয়!
✅ তাদের প্রতারণার কারণে বওলা বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেই অন্য জায়গা থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
📌 ভয়াবহ ছিনতাই কাণ্ড: প্রকাশ্যে ১০টি ব্যাটারি লুট!
সম্প্রতি মেসার্স হাজী অটো হাউস থেকে ১০টি ব্যাটারি কিনে মোস্তফা ও নাজমুল হক নামের দুই চালক ধোবাউড়া পাঠানোর জন্য একটি ইজিবাইকে তুলে দেন।
🚨 কিন্তু পথে রাজীব ব্যাটারি হাউজের সামনে পৌঁছালে, রাজীব, সজীব ও তাদের বাবা আব্দুল কাদির ফকির অটোচালক খলিলের পথ আটকে দেন!
🚨 তারা ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ১০টি ব্যাটারি ছিনিয়ে নেন!
🚨 ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে ফুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
✅ তদন্তের দায়িত্ব পান এএসআই রুহুল আমিন, যিনি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন!
❌ কিন্তু প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থাকায় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না!
📌 ঈদের আগে দিশেহারা ভুক্তভোগীরা— দ্রুত আইনের হস্তক্ষেপ দাবি!
💬 একজন ভুক্তভোগীর আর্তনাদ: “আমাদের সংসারের একমাত্র রোজগারের পথ ছিল ইজিবাইক, কিন্তু এখন ব্যাটারি ছিনতাই হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে পরিবার চালাব?”
📢 স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে:
🚨 রাজীব ব্যাটারি হাউজের প্রতারণা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে!
🚨 ব্যাটারি ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে!
🚨 বওলা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে!
✅ বওলা বাজারের মানুষ এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায়!