ময়মনসিংহে এক প্রভাবশালী পরিবারের চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও দুর্নীতির সাম্রাজ্য! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

Oplus_131072
ময়মনসিংহে এক প্রভাবশালী পরিবারের চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও দুর্নীতির সাম্রাজ্য! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
ময়মনসিংহের মাসকান্দায় গড়ে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ পরিবারের নেটওয়ার্ক। এই পরিবারের মূলহোতা আজহারুল ইসলাম, যার পিতা একসময় ডাকাত দলের সরদার ছিলেন, আর এখন ছেলে ভূমিদস্যুতার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
ক্ষমতার উত্থান ও রাজনৈতিক আশ্রয়
স্থানীয় সূত্র মতে, ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম তারা‘র ছত্রছায়ায় আজহারুল ইসলাম প্রথমে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব শুরু করে। এরপর, যখন ফাতেমা তুজ জোহরা সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত হন, তখন থেকেই তার অবৈধ কর্মকাণ্ড আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে।
কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব
এই পরিবার মাসকান্দায় এক বিশাল কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে, যারা –
✅ চাঁদাবাজি
✅ জমি দখল
✅ নারী নির্যাতন
✅ রাহাজানি
✅ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নীরবভাবে অর্থ আদায়
পরিবারের দুর্নীতির সাম্রাজ্য
এমপি ফাতেমা তুজ জোহরা‘র সুপারিশে আজহারুল ইসলামের বড় ভাই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় পদে চাকরি পান। এরপর, তিনি সেখানে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন।
পরবর্তীতে, ১৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতির পদও দখল করে নেয় এই পরিবার। এই পদ পাওয়ার পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং সাধারণ জনগণের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়।
অবৈধ সম্পদ ও রাজনৈতিক সংযোগ
পরিবারের ছোট বোনকে বিয়ে দেওয়া হয় একজন সচিবের কাছে, যিনি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। তার মাধ্যমে ময়মনসিংহ রেজিস্ট্রি অফিসে আজহারুল ইসলাম দলিল লেখকের রেজিস্ট্রি পান। এরপর, তিনি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভালো জমিকে খারাপ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করেন।
নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক চক্রান্ত
সাম্প্রতিক সময়ে, আজহারুল ইসলাম বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাসকান্দায় বড় ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা
একটি পরিবারের হাতে পুরো এলাকা জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের উচিত এই দুর্নীতিবাজ পরিবার ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায়, মাসকান্দার সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।