ময়মনসিংহে ‘আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী’ পরিচয়ে রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে জমি দখল, মিথ্যা মামলা ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এলাকাবাসীর ক্ষোভ; পুলিশের অভিযান ব্যর্থ

Oplus_131072
ময়মনসিংহে ‘আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী’ পরিচয়ে রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে জমি দখল, মিথ্যা মামলা ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এলাকাবাসীর ক্ষোভ; পুলিশের অভিযান ব্যর্থ
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দিগার কান্দা শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মোসাম্মৎ রুনা আক্তার, পিতা মৃত জমশেদ আলী ওরফে জঙ্গ মাঝি, নিজেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, মিথ্যা মামলা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
জমি দখল
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুনা আক্তার তার প্রাক্তন স্বামীর নামে থাকা জমি ১,৫শতাংশ, ভালোবাসার নিদর্শন নিজের নামে ১ শতাংশ > শতাংশ এবং লিখে দেন রুনা কে
পরবর্তীতে সেই জমিতে নির্মিত বাসা দখল করে বসবাস শুরু করেন। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি নিজের শরীরে আঘাত করে প্রাক্তন স্বামীর নামে মিথ্যা মামলাও দায়ের করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বামী একজন গণমাধ্যম কর্মী উনাকে ডিভোর্স করাতে বাধ্য করেন এবং মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে দেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে এই ডিভোর্সটি হয় বলে জানা যায়। তিনি নিজে তিনজন সন্তানের কারণে এই তথ্যগুলো সামনে আনিনি বলে জানা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রুনা আক্তার আওয়ামী লীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তিনি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এমনকি প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা মমতাজ বেগমকেও একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাজিরা দিতে বাধ্য করছেন।
গ্রেপ্তারের চেষ্টা ও পুলিশের অভিযান রাত একটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত অভিযান চলে।
গতকাল রাত ১টার দিকে স্থানীয় ছাত্র ও জনতা রুনা আক্তারের বাড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান সঙ্গে সঙ্গে ৩ নম্বর ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্ট পাঠান। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন পলিশ সদস্য। এইঅভিযানে নারী কনস্টেবলসহ তবে তাভিযানের সময়
রুনা আক্তারের বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনজন পুলিশ সদস্যকে পাহারায় রেখে ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল ফিরে আসেন এবং জানান, সকালে দিনের আলোতে পুনরায় অভিযান চালানো হবে।
প্রশাসনের বক্তব্য ও তদন্ত
ওসি শফিকুল ইসলাম খান জানান, “এলাকাবাসী তাকে রেখে দিয়েছে, গ্রেপ্তার করতে দেয়নি।” তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং সঠিক তথ্য উদঘাটন হবে।
রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার
জানা গেছে, রুনা আক্তার এক সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং মহিলা যুবলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী, এই পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, ময়মনসিংহের অনেক ভিআইপি লোকজনের যাওয়া-আসা তার বাড়িতে তার কাছে অনেকেরই অন্তরঙ্গ ভিডিও থাকতে পারে তাই ওনাদের সহযোগিতায় বরাবর বেঁচে যাচ্ছেন এই রুনা।
রুনা আক্তারের কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে এবং এলাকার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তারা তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।