খুঁজুন
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৯ কার্তিক, ১৪৩২

সাংবাদিক সুবেদ আলী রাজা কারাগারে: ষড়যন্ত্র নাকি অপরাধ? পর্নোগ্রাফি মামলাকে ঘিরে উত্তাল ময়মনসিংহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ
সাংবাদিক সুবেদ আলী রাজা কারাগারে: ষড়যন্ত্র নাকি অপরাধ? পর্নোগ্রাফি মামলাকে ঘিরে উত্তাল ময়মনসিংহ

Oplus_131072

 


সাংবাদিক সুবেদ আলী রাজার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা: ষড়যন্ত্র নাকি সত্যি? দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাল ময়মনসিংহ

 বিশেষ প্রতিবেদন |

ময়মনসিংহে একজন সাংবাদিক  সুবেদ আলী রাজার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে।

গ্রেপ্তার ও মামলার পটভূমি

২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা একটি পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা (মামলা নং: ৪২/২৫) দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে রেজা ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সম্পাদক খায়রুল আলম রফিকের ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এরই ভিত্তিতে ১৮ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে সাংবাদিক সুবেদ আলী রাজাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরের আর কে মিশন রোডে বসবাস করেন।

সুবেদ আলীর দাবি: “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার”

সুবেদ আলী রাজা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন:

“আমার নামে কোনো ফেসবুক আইডি নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলা। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, কারণ আমি দৈনিক একটি পত্রিকার মালিক। সেই পত্রিকার মালিকানা নিয়ে রেজা ও রফিক দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন,

“চাঁদা না দেওয়ায় এবং তাদের অপসাংবাদিকতার প্রতিবাদ করায় তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসিয়েছে। তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে। এই মামলা একটি বৃহত্তর দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রের হাতিয়ার।”

পরিবার ও আইনজীবীর বক্তব্য

সুবেদ আলী রাজার স্ত্রী ও পরিবার বলছে, এটি একজন নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
রাজার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জানান:

“এই মামলায় কোনো ডিজিটাল ফরেনসিক প্রমাণ নেই। কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে জামিন ও মামলার বাতিল চেয়ে আবেদন করব। এটি একটি ‘অ্যাবিউজ অব ল’।”

প্রতিপক্ষের বক্তব্য: “আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলার কার্যক্রম চলছে”

প্রতিদিনের কাগজ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক বলেন:

“আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের পত্রিকার ময়মনসিংহ প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা বাদী হয়ে মামলা করেছেন এবং প্রশাসন  নিজ দায়িত্বে সুবেদ আলী রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগের সত্যতা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ হবে।”

রেজাউল করিম রেজাও বলেন:

“আমরা ভুয়া আইডি ও পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছি। আইনের মাধ্যমে বিচার চাইছি। মামলার তদন্ত চলছে, বিচারিক প্রক্রিয়াই সত্যতা নির্ধারণ করবে।”

সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিক্রিয়া

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে একে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
বাংলাদেশ লিগেল এন্ড হিউম্যান রাইট সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন এর ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক  বলেন:

“এটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হরণের উদাহরণ। অবিলম্বে সুবেদ আলী রাজার মুক্তি এবং স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করছি।”

ময়মনসিংহের একজন সিনিয়র সাংবাদিক  জানায়:

“প্রমাণ ছাড়া গ্রেপ্তার উদ্বেগজনক। সুবেদ আলী রাজার জন্য।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের (BMUJ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান বলেন:

“আমাদের নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্ব জনসমক্ষে এনে সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত মীমাংসা হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন,

“রফিক আমার স্নেহের ভাই, কিন্তু সাংবাদিকতা সম্মানের পেশা, নিজেরা নিজেদের অসম্মান করলে সমাজে আমাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।”

রাজনৈতিক প্রশাসনিক সামাজিক সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়ে যাবে এই সাংবাদিকতার পেশাটি।

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: রেজা ও রফিকের অতীত

সুবেদ আলী রাজার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রেজা ও রফিক নিজেরাই ভুয়া আইডি তৈরি, চাঁদাবাজি এবং অপসাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় সূত্র ও সাংবাদিকদের মধ্যে এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রয়েছে:

  • খায়রুল রফিক:
    • সাইবার অপরাধে পূর্বে কারাভোগ
    • ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা
    • একাধিক প্রতারণামূলক মামলায় অভিযুক্ত
    • সাংবাদিক পরিচয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
  • রেজাউল করিম রেজা:
    • নারীবাণিজ্যের অভিযোগ
    • মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি
    • পুলিশের সঙ্গে অসৎ সম্পর্ক গড়ে তোলে অপরাধ ঢাকার চেষ্টা

ভবিষ্যৎ করণীয় ও জনমতের দাবি

ঘটনার পেছনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত কর্মকর্তা  জানান:

“তদন্ত চলছে। ডিজিটাল ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া অভিযোগপত্র দেওয়া হবে না।”

এ বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, মামলার সময় কোনো ডিজিটাল প্রমাণ ছিল না। যা পুরো প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোর একটাই বক্তব্য:
“মিথ্যা মামলার বিচার চাই, ভুল বোঝাবুঝির অবসান চাই,  সুবেদ আলীর মুক্তি চাই!”


প্রতিবেদন:  কাগজের আলো,
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক 


 

বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

Oplus_131072

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও স্বস্তির পরিবেশে ঈদ ফেরত যাত্রীসেবা:
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।

ময়মনসিংহ, ৪ এপ্রিল:
ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ নিরলসভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরীর দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকায় বিআরটিএ ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইফফাত হাশেম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১০টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ (উনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্টে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পণ্যবাহী পিকআপ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে — আন্তঃজেলা পাটগুদাম ব্রিজ টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করেন।

মনিটরিং কার্যক্রমে দেখা যায়, অধিকাংশ বাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। বাস কাউন্টার ও যানবাহনগুলোতেও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

অভিযান চলাকালে বাস চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রমে তারা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করছেন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর দায়িত্ব পালনের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা ঈদ ফেরত যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।

বিআরটিএ’র এই তৎপরতা ঈদের পূর্ব থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ পরবর্তী সময়জুড়েও এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:১৮ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

‎হ্নীলায় যুবদল নেতা ছৈয়দুল আমিন-শাহ জালালের দোয়া মাহফিলে বক্তারা ; শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

‎২৪ অক্টোবর দুপুর আড়াই টায় হ্নীলা রঙ্গিখালী গাজীপাড়া মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সাবেক যুগ্ম- আহ্বায়ক শহীদ শাহ জালাল ও শহীদ ছৈয়দুল আমিনের ১৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

‎এতে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া- টেকনাফের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হাসান ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, যুগ্নসম্পাদক ও হ্নীলা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ওসমান গণি,হ্নীলা উত্তর শাখা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মেম্বার, আবছার কামাল নোবেল।

‎এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির যুগ্নসম্পাদক জামাল সাদেক রিফাত,টেকনাফ উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হোসাইন মোঃ আনিম, টেকনাফ উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা মর্জিনা আক্তার ছিদ্দিকী,হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ছিদ্দিকী,সাংগঠনিক সম্পাদক জুহুর আলম, টেকনাফ উপজেলা তাঁতী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম হৃদয়, শহীদ ছৈয়দুল আমিন-শাহ জালাল স্মৃতি সংসদের সদস্য ও দক্ষিণ শাখা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, উপজেলা যুবদলের যুগ্নআহবায়ক মোক্তার হোছন বাপ্পী, উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাবেদ ইকবাল, হ্নীলা দক্ষিণ শাখা যুবদলের আহবায়ক মোঃ সেলিম সর্দার, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্নআহবায়ক আব্দুল খালেক রানা প্রমুখ।

‎এতে বক্তারা বলেন,বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭বছর শাসনামলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছৈয়দুল আমিন-শাহ জালালের মতো অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়ে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপি পরিবারের নিহত সকল শহীদের আত্নার মাগফিরাতের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্য বিএনপির ত্যাগী নেতা শাহ আলম, আবুল আলম বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলার শিকার হয়ে ফেরারী দিন-যাপন করেছে। এখনো তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান সময়ে তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিপূল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। তাতেই বিএনপির জন্য শাহাদাত বরণকারীদের আত্না শান্তি পাবে বলে জানান। এজন্য মতভেদের উর্ধ্বে উঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

ময়মনসিংহে পূজামণ্ডপে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত, অভিযুক্ত যুবক আটক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহে পূজামণ্ডপে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত, অভিযুক্ত যুবক আটক

ময়মনসিংহে পূজামণ্ডপে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত, অভিযুক্ত যুবক আটক

ময়মনসিংহ নগরীতে শ‍্যামা পূজার মণ্ডপে ছুরিকাঘাতের এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বড় কালীবাড়ীস্থ বন্ধুসংঘ শ‍্যামা পূজামণ্ডপে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন—অটোমিস্ত্রি মানিক সরকার (২৮), তার স্ত্রী ভারতী সরকার (২৪) এবং বড় কালীবাড়ী বন্ধুসংঘ শ‍্যামা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন সরকার (৫৭)। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূজামণ্ডপে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে মো. মামুন (২৭) নামে এক যুবক হঠাৎ ছুরি বের করে হামলা চালায়। এতে উপস্থিত তিনজন রক্তাক্ত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হামলাকারী মামুনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আহতদের মধ্যে ভারতী সরকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় যুবক দ্বীপ জানান, ছুরিকাঘাতে ভারতীর ফুসফুসে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নগরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, আটক মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

জামালপুরে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ণ
জামালপুরে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

জামালপুরে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

জামালপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে ২২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আনা হচ্ছে জামালপুরে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম এর নির্দেশে সদ্য যোগদান করা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেন এসআই (নিঃ) মোঃ শহিদুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) সাইফুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) আকরাম হোসেন, কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন, নারী কনস্টেবল ফাতেমা আক্তার, মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন, মুক্তা আক্তার ও শ্রাবণী আক্তার।

শুক্রবার সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে জামালপুর সদর থানাধীন দড়িপাড়া এলাকায় মেসার্স স্নিগ্ধা মটরসের সামনে বাসটি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এক দম্পতির কাছ থেকে ২২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ আব্দুল মতিন (৪৭), পিতা মৃত হাসমত আলী, গ্রাম ডিগ্রীরচর পশ্চিমপাড়া, থানা জামালপুর সদর এবং তার স্ত্রী মোছাঃ শাহিদা বেগম (৩৫), পিতা মোঃ আব্দুল সামাদ, গ্রাম নুরুন্দি (ডিগ্রীরচর), থানা জামালপুর সদর।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা বলেন, অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুস সাকিব যোগদানের পরপরই দক্ষ নেতৃত্বে এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তার দ্রুত পদক্ষেপ ও পেশাদারিত্বের ফলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ বাস জব্দ সম্ভব হয়েছে। এটি জামালপুর জেলা পুলিশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, মাদক সমাজের জন্য মহামারী। মাদক নির্মূলে জামালপুর জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। জেলা থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।