মার্চ ফর গাজা: ঢাকায় লাখো মানুষের মানবতার পক্ষে গর্জন

মার্চ ফর গাজা: ঢাকায় লাখো মানুষের মানবতার পক্ষে গর্জন
ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২৫:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবতার পক্ষে অন্যতম বৃহৎ গণজমায়েত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত এই বিক্ষোভে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভের মূল বার্তা
হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, মুখে “ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন” স্লোগান—সারাদেশ থেকে আসা মানুষগুলোর কণ্ঠে ছিল একটাই বার্তা: “অবরুদ্ধ গাজা মুক্ত হোক!”
বিক্ষোভকারীরা প্রতীকী কফিন ও রক্তাক্ত শিশুদের প্রতীক তুলে ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নির্মমতা তুলে ধরেন। ইসরায়েলি নেতাদের প্রতীকী মুখোশ ছিঁড়ে প্রতীকী বিচার করেন তারা।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো এই কর্মসূচিকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে। এপি, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, আরব নিউজ, টাইমস অব ইসরায়েলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ঢাকার লাখো মানুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে—মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসী চুপ থাকবে না।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণ
এই বিক্ষোভে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছেন। বিএনপি, বিভিন্ন ইসলামী দলসহ সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও সদস্যরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রছাত্রী, পেশাজীবী, ধর্মীয় নেতা এবং সাধারণ মানুষ মিলেই এই বিশাল সমাবেশে একটি মানবিক ঐক্যের ছবি তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের অংশ
বাংলাদেশের এই আন্দোলন ছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশের গাজার পক্ষে বিক্ষোভগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি, লন্ডন, জোহানেসবার্গ, ইস্তাম্বুল, কুয়ালালামপুরসহ নানা শহরে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখো মানুষ এক কণ্ঠে প্রতিবাদ জানায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
এই প্রতিবাদ শুধু গাজার জন্য নয়—এটি বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারেরও প্রতিচ্ছবি।
মানবতা আজও বেঁচে আছে, আর এই বেঁচে থাকার সাক্ষী হয়ে রইল ‘মার্চ ফর গাজা’।