রান্না শেষে চুলা বন্ধ রাখুন ,

Oplus_131072
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও স্বস্তির পরিবেশে ঈদ ফেরত যাত্রীসেবা:
বিআরটিএ ময়মনসিংহের মোবাইল কোর্টে ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, যাত্রীদের স্বস্তি প্রকাশ
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।
ময়মনসিংহ, ৪ এপ্রিল:
ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ নিরলসভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরীর দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকায় বিআরটিএ ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইফফাত হাশেম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১০টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ (উনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মোবাইল কোর্টে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পণ্যবাহী পিকআপ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে — আন্তঃজেলা পাটগুদাম ব্রিজ টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান করেন।
মনিটরিং কার্যক্রমে দেখা যায়, অধিকাংশ বাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। বাস কাউন্টার ও যানবাহনগুলোতেও ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
অভিযান চলাকালে বাস চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই এবং বিআরটিএ’র কার্যক্রমে তারা স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ করছেন।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর দায়িত্ব পালনের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা ঈদ ফেরত যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।
বিআরটিএ’র এই তৎপরতা ঈদের পূর্ব থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ পরবর্তী সময়জুড়েও এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।
অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।
এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”
এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক)
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।
সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়
আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!
অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—
✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি
স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে
তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Oplus_131072
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।
বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”
মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।
প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।
ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।
এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান, ময়মনসিংহে মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ৭ জন আটক
বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, শহরের ব্যস্ত এলাকা কালিবাড়ির একটি ভাড়া বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে ওই যুবকরা অবস্থান করছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে নজরদারির পর নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছু উগ্রবাদী বই, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, খেলনা অস্ত্র, হ্যান্ডকাপ ও অন্যান্য প্রশিক্ষণসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আটকদের একজন দাবি করেছেন, তিনি মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তবে কলেজ প্রশাসন বলছে, বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তাদের উপস্থিতি, শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণ এবং পরিচয়পত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় উগ্রবাদী চিন্তাধারার প্রচার, সদস্য সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, এই চক্রের সঙ্গে দেশের অন্য জেলায় সক্রিয় সদস্যদের যোগাযোগ রয়েছে, তাই জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ওই বাড়িতে অনেকদিন ধরেই সন্দেহজনক গতিবিধি চলছিল। কেউ ঠিকমতো বাইরে আসত না, মাঝেমধ্যে রাতের বেলা আলো জ্বলতো, বাইরের কারো সঙ্গে মেলামেশা ছিল না। তাদের কথাবার্তা বা পোশাকেও ছিল ভিন্নতা।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এই আস্তানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে অভিযান চলমান থাকবে এবং অন্যত্রও অভিযান চালানো হতে পারে।
এই ঘটনায় ময়মনসিংহ শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই অভিযান ময়মনসিংহ অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলায় একটি বড় সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ধারাবাহিক নজরদারি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় এমন একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ বিশেষ প্রতিনিধি
কাগজের আলো
চোলাই মদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান: পতিতা পল্লী থেকে ৭০ লিটার উদ্ধার, রুমা পলাতক
বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের পতিতা পল্লীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১নং পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ কমর উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। অভিযানে মূল অভিযুক্ত রুমা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চোলাই মদ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এবং এতে বিষাক্ত মিথানল থাকার আশঙ্কা থাকে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিয়মিত বা অতিরিক্ত সেবনে দৃষ্টিশক্তি হারানো, কিডনি ও লিভার বিকল হওয়া, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অনেক সময় নিম্নমানের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে বেশি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে এই মদ প্রস্তুত করা হয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদক নির্মূল ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এলাকার সচেতন নাগরিকরা পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই ধরনের অভিযান সমাজে অপরাধ ও মাদক বিস্তারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বহু, উদ্ধারকাজ চলছে
আজ দুপুরে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171, যা লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শহরের মেঘানি নগর এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং পুরো এলাকা ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন বহু মানুষ, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটি একটি ডাক্তারদের হোস্টেলের ওপর পড়ে, যার ফলে স্থলভাগেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। আশপাশের ভবনেও আগুন ও ধোঁয়ার প্রভাব পড়ে এবং অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (DGCA) এবং বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB)। দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে কী ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানও আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
এই দুর্ঘটনায় শুধু ভারত নয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও পর্তুগালসহ একাধিক দেশের নাগরিকরা আক্রান্ত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করেছে।
উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।