রান্না শেষে চুলা বন্ধ রাখুন ,

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।
অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।
এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”
এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক)
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।
সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়
আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!
অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—
✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি
স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে
তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Oplus_131072
মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।
বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”
মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।
প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।
ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।
এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাতী দল ১৭নং ওয়ার্ড শাখার নবগঠিত কমিটি হস্তান্তর।
মমমনসিংহ প্রতিনিধি :
কমিটি হস্তান্তর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর তাতী দলের আহ্বায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম।
নবগঠিত ১৭নং ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, সদস্য সচিব আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ন আহ্বায়ক মন্জুরুল হক মন্জু, যুগ্ন আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম,
সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাঃ সম্পাদক শফিকুল হাসান, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক
ইদ্রিস আলী শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম রুবেল, প্রচার সম্পাদক মোঃ জামাল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ কামাল মিয়া,
ক্রীড়া সম্পাদক শাহজাহান, তাতী বিষয়ক সম্পাদক বাবুল মিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজাদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন,
আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর তাতী দল নেতা শামীম আহমেদ, কোতোয়ালী
কৃষক দল যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বাচ্চু,
জেলা কৃষক দল নেতা আজিজুল ইসলাম,
এছাড়াও অন্যন্য অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্নিচারের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
লিজা আক্তার:- নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফার্নিচারের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে আগুন লাগে বলে জানান আদমজী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মিরন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১১ টার দিকে আগুন দেখতে পেয়ে আমরা চেষ্টা করেছি আগুন নেভাতে। কিন্তু বাতাসের কারণে ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পাশের একটি তুলার দোকানেও আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
আদমজী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মিরন মিয়া জানান, জালকুড়ি একটি ফার্নিচারের দোকানে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত কাঁচপুর ও আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে রাত ১২ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
পূর্বধলা প্রতিনিধি :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে
কেন্দ্রীয় বি এন পির কর্মসূচির অংশ হিসাবে পূর্বধলা উপজেলার ১০ নং নারান্দিয়া ইউনিয়ন বি এন পি ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বুধবার ১১ মার্চ ২০২৫ বিকাল ৪:০০ ঘটিকার সময় নারান্দিয়া ইউনিয়নের হিরণপুর বাজার সংলগ্ন ঈদ গাহ মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন নেত্রকোনা জেলা বি এন পির সম্মানিত সদস্য,সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ হল শাখা,জাতীয়তা বাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১৬১নেত্রকোনা,পূর্বধলা- ৫ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীর্ষের মনোনয়ন প্রত্যাশী তারেক রহমানের বিশ্বস্ত হাতিয়ার পূর্বধলার মাটি ও মানুষের ডাইনামিক নেতা এ,এস, এম শহীদুল্লাহ ইমরান।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন
পূর্বধলা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আসাদুজ্জামান ডানো।
অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন
আলহাজ্ব আহমেদ আলী সরকার ,আলহাজ্ব হাজী আব্দুল গনি, আবদুল মান্নান,আজিমদ্দিন তালুকদার আরশাদ,শেখ আবদুর রাশিদ,সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার সাচ্ছা,মোঃ গোলজার হোসেন, ডাঃ লতিফুর রহমান,ডাঃ আজিজ,মো:বাচ্চু তালুকদার শাহজাহান মিয়া,ফারুক মিয়া,নাজমুল হুদা ফিরোজ,ফিরোজ তালুকদার,
আব্দুল মালেক,আব্দুল জলিল, খোরশেদ আলম,আব্দুর রেজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন আব্দুর রাশিদ, ওয়ারেস মিয়া , শাজাহান মিয়া ,নয়ন মিয়া ,মতিউর রহমান, শহিদুল ইসলাম,জুয়েল ফকির,দেলোয়ার হোসেন, উজ্জ্বল মিয়া, অন্তর ইসলাম রুবেল ,রিপন মাহমুদ,পূর্বধলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আনিসুজ্জামান আনিস সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শহীদুল্লাহ ইমরান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,ছাত্রজনতা ও বি এন পির গণ আন্দোলনের ফলে স্বেরাশাসক আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে।সেই সাথে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। দেশকে অস্তিতিশীল করার জন্য তাই তারা দেশের ভিতর ও বাহির থেকে ষড়যন্ত্র করছে। আর ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে সহায়তা করছে।
তাই আমাদের ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বি এন পির দুর্দিন থেকে রাজপথে থেকে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কেন্দ্র ঘোষিত বিএন পির প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে পালন করেছি।
তাই রাজ পথে থেকেই সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবো।
তিনি আরও বলেন,দেশ নায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দেয় নি। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বি এন পি দল ঐক্যদ্ধ ছিলাম আছি আর থাকবো।
এদেশের মানুষ নির্বাচন মুখী,বিগত আওয়ামীলীগের সময় জাতীয় বা স্হানীয় কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় নি। তাই এদেশের মানুষ দ্রুত সময়ে জাতীয় সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সরকারই কেবল জনগণের সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারুণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানের সুস্হ্যতা কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।