খুঁজুন
রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

ফজলুল হক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৩:২০ পূর্বাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান: চার স্থানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলল

ঢাকা, ২০ মার্চ ২০২৫:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজ চারটি পৃথক স্থানে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, গোপালগঞ্জ, বগুড়া ও মাদারীপুরে পরিচালিত এসব অভিযানে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডার জালিয়াতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের মতো অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বিটিভিতে অর্থের বিনিময়ে শিল্পী তালিকাভুক্তি ও ভুয়া বিলের অভিযোগ

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এক অভিযানে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে অর্থের বিনিময়ে ১,৭৯১ জন শিল্পী তালিকাভুক্তি, একই অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করে নতুন বিল উত্তোলন এবং প্রকল্পে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং প্রাথমিক পর্যালোচনায় বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পায়। বিল-ভাউচার সংক্রান্ত নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ!

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিশেষ বরাদ্দের ৭৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ অভিযান পরিচালনা করে। তদন্তে ৫টি প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে:

১. উত্তর আটাশীবাড়ী কবরস্থান – প্রকল্পের টাকা দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভরাট।
2. উত্তর আটাশীবাড়ী হেফজোখানা – যেখানে প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে, সেখানে কোনো হেফজোখানা নেই।
3. ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় – সামান্য মাটি ফেলে বরাদ্দের বড় অংশ আত্মসাৎ।
4. গাবভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – আংশিক কাজ করেও অধিকাংশ অর্থ লোপাট।
5. শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয় – সামান্য কাজ করেও বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ।

এই অনিয়মে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।

বগুড়ায় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে অনিয়ম

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি কর্তৃক বগুড়ায় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদক জেলা কার্যালয়, বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে। টিম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন করে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বিশ্লেষণের পর কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

মাদারীপুরে সরকারি ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের “সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন” নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর অভিযান পরিচালনা করে। সরেজমিন পরিদর্শন ও নথিপত্র বিশ্লেষণে অনিয়মের বেশ কিছু প্রমাণ মেলে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণসহ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

দুদকের এই ধারাবাহিক অভিযানে সরকারি অর্থের অপচয় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত মিলেছে। কমিশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

ময়মনসিংহ ডিসির প্রত্যাহারের দাবী তুলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ
ময়মনসিংহ ডিসির প্রত্যাহারের দাবী তুলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

ময়মনসিংহ ডিসির প্রত্যাহারের দাবী তুলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

শিবলী সাদিক খান : ময়মনসিংহে দৈনিক প্রলয় পত্রিকার ইফতার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব সংস্কার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলম খান। তিনি বলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম অরফ ফ্যাসিস্ট খ্যাত ডিসির পদোন্নতি প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন প্রায় সাড়ে তিনশত ইটভাটার মধ্যে সিংহভাগ অবৈধ যার জেলা প্রশাসকের গোপনীয় ফান্ড (এল আর) নামে জমা করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করেও হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

এ ছাড়াও বিভিন্ন অবৈধ শিল্প কারখানা ক্লিনিক সহ বিভিন্ন প্রকল্পের দূর্নীতিও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক রিট দায়ের হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মীর নাসির উদ্দিনের পি এস থাকাকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুমিকায় ছিল তার মূল উৎস।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে তার বিরুদ্ধে অসাধাচারণ সহ ৫ শতাধিক মাদরাসা শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বেতন ও বোনাস আটকে দিয়ে অমানবিক কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বহাল থেকে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের অবৈধ সভাপতি পদ আটকে সাংবাদিকদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। যার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতা শামসুল আলম খান ডিসির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছেন। এবং সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলে দাবী করেন।

জানা জায়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪ টায় চরপাড়া মোড়ে সালতান রেস্টুরেন্টে দৈনিক প্রলয়ের আয়োজনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক প্রলয় প্রত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়ন মো মির্জা সোবেদ আলী রাজার সভাপতিত্বে ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা চীফ ক্রাইম রিপোর্টার শিবলী সাদিক খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক আজকের ময়মনসিংহ, ও দৈনিক ইনকিলাব এর বিশেষ সংবাদ দাতা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট প্রবীন সাংবাদিক মো. শামসুল আলম খান।
দৈনিক প্রলয় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়ন মিছা সোবেদ আলী বলেন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের আগের কমিটি বাদ দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে কমিটি কিভাবে বাদ দিতে হয় এটি আমার ভাল রকম জানা। আগের কমিটি বাতিল করবোই। ডিসি আগামী ৬ /৭ তারিখে চলে যাবেন। হাইকোর্টে মামলা চলছে আমি রায় পড়েছি প্রেস ক্লাবের আগের কমিটি ভুয়া। ভুয়া কমিটি কেমনে বন্ধ করতে হয় এটি আমার জানা আছে।

এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক আবির প্রত্রিকার সম্পাদক ইউসুফ খান লিটন, আমার সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল -আমীন, দৈনিক জনকণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি আলমগীর কবির উজ্জ্বল খান, বিজয় টিভির প্রতিনিধি আব্দুল হক লিটন, মোহনা টিভির প্রতিনিধি রুবায়েত বাপ্পি, ডিবিসি প্রতিনিধি এম হোসাইন বিনয়, সোনালী শীষ প্রত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জহর লাল দে, সময়ের কাগজের প্রতিনিধি সাদেকুর রহমান, দৈনিক বঙ্গ সংবাদ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া পলাশ, দৈনিক সমাচার প্রতিনিধি এজি জাফর, প্রলয়ের সহ- সম্পাদক আনিছুর রহমান, মফস্বল সম্পাদক মোমিন তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার রাকিবুল হাসান ফরহাদ। উপস্থিত ছিলেন, আশিকুর রহমান মিঠু, মাঈন উদ্দিন উজ্জ্বল, সৈয়দ সুলতান রহমান বাপ্পি, এনামুল হক ছোটন, মফিদুল ইসলাম লাভলু, বাবুল হোসেন, জুয়েল মিয়া, আমিনুল ইসলাম সেলিম সাজ্জাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ইফতারের পুর্বে বিশেষ মোনাজাত করেন আমার সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল -আমীন। মোনাজাতে দেশ, জাতি, সমাজ ও সংবাদপত্রের উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সমগ্র মানবতার জন্য হৃদয় নিংড়ানো দোয়া করা হয়।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর থানায় অভিযোগ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর থানায় অভিযোগ

Oplus_131072

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর থানায় অভিযোগ

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক কিশোরীকে (১৭) বিয়ের প্রলোভনে ফুঁসলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নিজেই থানায় হাজির হয়ে অভিযুক্ত মো. আল আমিন (২৪), পিতা- মো. নাছির উদ্দিন, সাং- মালতীপুর, গো কেবাড়ী, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন।

প্রলোভনের ফাঁদে ধর্ষণ

থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে কিশোরী জানান, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আল আমিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার নানির বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে সে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে কিশোরীকে বিয়ে করার নাটক সাজিয়ে একটি ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে।

অন্তঃসত্ত্বা, কিন্তু স্বীকৃতি নেই

ভুক্তভোগীর দাবি, বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, কিন্তু আল আমিন তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। সর্বশেষ ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে অভিযুক্ত তার বাড়িতে এসে আবারও শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরদিন সকালে অভিযুক্তের বাবা এসে জোরপূর্বক তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান।

আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

কিশোরীর পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

গফরগাঁওয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলে জনতার ঢল

নীরব হাসান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ
গফরগাঁওয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলে জনতার ঢল

গফরগাঁওয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলে জনতার ঢল

নীরব হাসান

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ১৫ নম্বর টাঙ্গাব ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তারেক রহমানের নির্দেশিত দেশ মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

বামুনখালি কালির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব ফজলুর রহমান সুলতানের সুযোগ্য পুত্র জননেতা আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান।

সভাপতিত্ব করেন:
জনাব ইকবাল ই আলম ইকবাল

সঞ্চালনায় ছিলেন:
জনাব মেজবাহ উদ্দিন সোহাগ ও জনাব এম দেলোয়ার হোসেন মৃধা

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:

  • সেলিম আহমেদ – পৌর বিএনপি, গফরগাঁও
  • সৈয়দ সোহেল – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদল
  • অজহারুল ইসলাম পারভেজ – গফরগাঁও উপজেলা শ্রমিকদল
  • নাজমুল হাসান এডিসন – গফরগাঁও উপজেলা যুবদল
  • জাহিদ হাসান মুকুট – যুবদল, পাগলা থানা
  • আরিফুজ্জামান সুমন – যুবদল, পাগলা থানা
  • আবদুল আল রায়হান অপু – সাধারণ সম্পাদক, গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রদল

এছাড়া গফরগাঁও উপজেলা ও পাগলা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নেতার আগমনে জনতার ঢল
অনেকদিন পর জননেতা মুশফিকুর রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। তাঁকে একনজর দেখতে ও তাঁর বক্তব্য শুনতে হাজারো জনতা ভিড় জমায়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশ গঠনের সংগ্রাম চলছে এবং আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

ইফতার পূর্ব দোয়া মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয় এবং দেশের মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।