খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন, ১৪৩১

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ঝরে গেল নিষ্পাপ দুটো প্রাণ

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ঝরে গেল নিষ্পাপ দুটো প্রাণ

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ঝরে গেল নিষ্পাপ দুটো প্রাণ

মোস্তফা আল মাসুদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার পর বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় অবস্থিত এনাম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে

এ ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা ওই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড এবং দরজায় ভাংচুর চালিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

রোখসানা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের ভাই সাফিউল ইসলাম বলেন, সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠার পর শনিবার বেলা ১১টায় রোখসানাকে ক্লিনিকের নিয়ে আসা হয় বাচ্চা ডেলিভারির জন্য। তাদের পরামর্শেই ক্লিনিকটিতে রোগী ভর্তি করা হয়। ব্যাথা উঠার পর তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, রোগীকে নিয়ে আসেন ইমিডিয়েট সিজার করিয়ে দেবো। কিন্তু রোগীকে ক্লিনিকে নেয়ার পর দেখা যায় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিল না।

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য ছিল, রোগীর ব্যাথা আরো বাড়ুক। ডাক্তার কিছুক্ষণ পর আসবেন। এইসব কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া হয়।

সাফিউল বলেন, রোগী ভর্তির প্রায় ১২ ঘন্টা পর ক্লিনিকে ডাক্তার উপস্থিত হন। কিন্তু রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে বলা হয়। পরে রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গর্ভের সন্তানসহ মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনসহ আমাদের ডিপার্টমেন্টের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো,

এই চিত্র শুধু বগুড়ায় নয় এমন চিত্র এর প্রতিটি জেলা উপজেলায়,

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে ডেমোনস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৯:২১ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে ডেমোনস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

Oplus_131072

মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে ডেমোনস্ট্রেটর আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের ডেমোনস্ট্রেটর শেখ মুহাম্মাদ আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কলেজের বার্ষিক বনভোজনের সময় জুয়েল তাকে শারীরিকভাবে হয়রানি করেন। অভিযোগের পরেও যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর জুয়েলকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্তারুজ্জামান জুয়েল এর আগে তিনটি বিবাহ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, তিনি মিথ্যা মামলায় স্থানীয়দের হয়রানি করার অভিযোগে পরিচিত। কম্পিউটার ডেমোনস্ট্রেটর পদে চাকরি করলেও তিনি নিজেকে প্রভাষক হিসেবে পরিচয় দেন।

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আক্তারুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ক্রাইম রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ২ নম্বর মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণীকে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) চাল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের টোকেনধারী অনেকেই তাদের বরাদ্দকৃত চাল পাননি। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ও বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যে, চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণী চাল বিক্রি করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের নির্দেশে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণী, চৌকিদার আকবর আলী ও চাল ব্যবসায়ী নুরু ডিলারকে গ্রেফতার করে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেসমিন নাহার রাণী ২০১৬ সালে মেদুয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং তারা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহে এনটিভির সাংবাদিক মাসুদ বনাম প্রতিদিন কাগজের সাংবাদিক রেজা: আইনি লড়াই উত্তপ্ত

বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিং
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে এনটিভির সাংবাদিক মাসুদ বনাম প্রতিদিন কাগজের সাংবাদিক রেজা: আইনি লড়াই উত্তপ্ত
  1. তারখান লাইফস্টাইল স্টোর: পার্টনারশিপ ব্যবসার আড়ালে প্রতারণা, আদালতের রায়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রিপোর্টার: ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীর ৭৮ শেওড়া ধোপাখোলা মোড়ে অবস্থিত “তারখান লাইফস্টাইল স্টোর” নামে একটি গার্মেন্টস ব্যবসা পার্টনারশিপ ভিত্তিতে শুরু করেছিলেন এনটিভির ক্যামেরাম্যান মাসুদ রানা, সোহাগ মাহমুদ, সোহেল রানা এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম রেজা। চট্টগ্রামের রেজাউল করিম রেজা তার সকল সম্পদ বিক্রি করে এই ব্যবসায় যৌথ মালিকানা গ্রহণ করেন। তবে শুরুতে ভালো চললেও পরবর্তীতে ব্যবসাটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে।

নারী আসক্তি ও প্রতারণার অভিযোগ

ব্যবসার অন্যতম পার্টনার মাসুদ রানা বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং ব্যবসার তহবিল থেকে নিয়মিত টাকা সরিয়ে নিতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন রেজাউল করিম রেজা। একপর্যায়ে ষড়যন্ত্র করে রেজাউল করিম রেজাকে ব্যবসা থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।

পরবর্তীতে, মাসুদ রানার আস্থাভাজন মো. কামাল হোসেন ও প্রান্ত সাংবাদিকের মাধ্যমে একটি ৩০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিতে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেজাউল করিম রেজাকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে এবং তাকে চেক প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা না পাওয়ায় রেজাউল করিম রেজা আদালতের দ্বারস্থ হন

আদালতের রায় ও গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত রেজাউল করিম রেজার পক্ষে রায় দেন এবং মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা এড়াতে মাসুদ রানা বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো শুরু করেন

ফেসবুক আইডি খুলে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি

অভিযোগ রয়েছে যে, মাসুদ রানা ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন সাংবাদিক ও ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তিনি “দৈনিক পতিতালয়” নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করে সাংবাদিক ইউনুসসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন এবং রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করতে চান।

এর আগেও, ২০১৭ সালে মাসুদ রানা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস খান ও খায়রুল আলম রফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেন। তদন্তে দেখা যায়, তিনি ৩১টি ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ইদ্রিস খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। পরবর্তীতে সিআইডি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, ২৯টি ফেসবুক আইডি মাসুদ রানার সাথে সংশ্লিষ্ট

রেজাউল করিম রেজার আহ্বান

রেজাউল করিম রেজা ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি কারো বিরুদ্ধে কোনো ভুয়া ফেসবুক আইডি পরিচালনা করেন না। তিনি সকল সহকর্মীদের সঙ্গে সততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করতে চান এবং এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ তার বক্তব্য বিশ্বাস না করেন, তাহলে তিনি সিআইডির সকল কাগজপত্রসহ বসতে প্রস্তুত। তিনি সকল সাংবাদিকদের আহ্বান জানান যেন তারা প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেন এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেন

কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

এ ধরনের ব্যবসায়িক প্রতারণা ও অনিয়ম বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

এখন দেখার বিষয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কবে নাগাদ মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং রেজাউল করিম রেজা তার ন্যায্য পাওনা ফেরত পান কিনা।