প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামি খুঁজে পাচ্ছে না মুক্তাগাছা থানা পুলিশ

Oplus_131072
প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামি খুঁজে পাচ্ছে না মুক্তাগাছা থানা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৪’ই মার্চ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি ও সোয়া লাখ পিছ ব্লেড জব্দ করা হয়।
তবুও প্রকাশ্যে ঘুরছেন এজাহার কৃত আসামিরা।
বালুবাহী ট্রাকের ওপর থেকে পাতলা স্তরে থাকা বালু সরাতেই বেরিয়ে এলো বস্তায় বস্তায় ভারতীয় চিনি ও তাকে তাকে সাজানো ব্লেড । এভাবেই ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অবৈধ পথে আসা ১৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ১লাখ ২০ হাজার পিস জিলেট ব্লেড উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা।
ময়মনসিংহে র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুক্তাগাছায় সকাল ৯টা থেকে অভিযান চালানো হয়। এসময় উপজেলার নিমুরিয়া এলাকায় ময়মনিসংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে ট্রাকের ওপরে ট্রিপল দিয়ে মোড়ানো বালু দেখা যায়। পরে বালু সরিয়ে সেখান থেকে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
এসময় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও চালকের সহকারী রাকিবুল হাসান(২২)কে আটক করা হয়। অপরদিকে উপজেলা চেচুয়া বাজারের ব্যবসায়ী, দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক ফজলু ৪৭ ও তার ভাই জামায়াত নেতা আব্দুল হালিমের গোডাউনের সামনে থেকে একই রকম বালুভর্তি একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকের ওপরের বালু সরিয়ে সেখান থেকে ৬৯ বস্তা ভারতীয় চিনি ও এক লাক ২০ হাজার পিস ভারতীয় জিলেট ব্লেড উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখান থেকে ট্রাকের চালক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর বরিয়ান এলাকার আলাল উদ্দিনের পুত্র শাহজাহান সিরাজ(২৮) আটক করে র্যাব। এসময় পন্য অবৈধ পথে ভারত থেকে পাচার হয়ে এসেছে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘ দিন ধরে চোরাই পথে আসা ভারতীয় পন্য পরিবহনের কাজের সাথে জড়িত। মুক্তাগাছার একটি চক্র চোরাই পথে আসা এসব পন্যের বাণিজ্যের সাথে জড়িত বলেও তারা জানিছে।
মঙ্গলবার বিকালে পৃথক মামলায় মালামালসহ আটককৃতদেরকে মুক্তাগাছা থানা পুলিশের সোপর্দ করে র্যাব।
সেই সময় শাহজাহান সিরাজ (২৬ ) রাকিবুল হাসান (২২)
আশিকুজ্জামান আশিক (৪৫)
ও ফজলুল হক ফজলু (৪৭)
এই চার জনের নামে মামলা হয় তবুও গত সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এজাহার কৃত আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি ।
ঐ গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন অজানা কোনো এক খমতার বলেই আসামিরা প্রকাশ্য দিবালোকে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তবুও নেই প্রশাসনের কোনো গুরুত্ব । এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর। ছোট্ট করে একটা লাইন দাও