শতকোটি টাকার মালিক পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর! দুর্নীতির দায়ে দুদকের ২ মামলা

Oplus_131072
শতকোটি টাকার মালিক পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর! দুর্নীতির দায়ে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুন কবীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা দায়ের করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী বেবী আলিয়া হাসনাত এবং বাবা আলী হোসেন প্রায় ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং সাড়ে ১৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দুদকের তদন্তে কী উঠে এসেছে?
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও হুমায়ুন কবীর প্রশ্নবিদ্ধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। তিনি তার স্ত্রী ও বাবার নামে জমি কিনে পরে সেগুলো নিজের নামে হেবা করেছেন, যা অবৈধ সম্পদ স্থানান্তরের কৌশল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এছাড়া, তাদের সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে, যা আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করছে দুদক। এসব সম্পদের উৎস সম্পর্কে তিনি কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য
তবে, অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন যে, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই এবং তিনি দুদকে সম্পদের সঠিক হিসাব জমা দিয়েছেন। তার বক্তব্য, “আমার সব সম্পদের বৈধ উৎস রয়েছে, এটি নিছক একটি ভুল বোঝাবুঝি।”
বর্তমানে কী অবস্থা?
দুদক ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমির কাগজপত্র ও অন্যান্য সম্পদের নথি যাচাই-বাছাই করছে। মামলাগুলো এখন তদন্তাধীন, এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হবে।
এই ঘটনার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের বিষয়ে কড়া নজরদারির দাবি উঠেছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা এত বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেন? এখন দেখার বিষয়, তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার আসল সত্য কী বেরিয়ে আসে।