ময়মনসিংহে নকল শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় এনএসআই-এর অভিযান: কারখানা সিলগালা, মালিকের কারাদণ্ড


ময়মনসিংহে নকল শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় এনএসআই-এর অভিযান: কারখানা সিলগালা, মালিকের কারাদণ্ড
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক।
শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর নকল জুস ও ড্রিংকস উৎপাদনের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজার সংলগ্ন একটি নকল জুস কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই অভিযানে গৌরীপুর উপজেলা প্রশাসন, বিএসটিআই ও সেনাবাহিনী অংশ নেয়।
অভিযানের বিবরণ
✔ তারিখ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫
✔ সময়: দুপুর ১১:২০ – ১৫:০০ পর্যন্ত
✔ অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা: এনএসআই ময়মনসিংহ, উপজেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, সেনাবাহিনী
অভিযানকালে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের শিশু খাদ্য, নকল ম্যাংগো জুস ও ড্রিংকো জুস উৎপাদনকারী কারখানাটি সিলগালা করা হয়। জুস তৈরির জন্য ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি ও বিপুল পরিমাণ প্যাকেটজাত নকল জুস (যেমন: ফ্রুটো ম্যাংগো, ডিংডং লিচি, ফ্রুটি ও ড্রিংকো জুস) জব্দ করা হয়। পরে বুলডোজার মেশিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
✔ কারখানার মালিককে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে
✔ কারখানাটি সম্পূর্ণ সিলগালা করা হয়েছে
✔ অবৈধভাবে উৎপাদিত সব নকল শিশু খাদ্য ধ্বংস করা হয়েছে
নকল শিশু খাদ্যের ভয়াবহতা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল জুস ও শিশু খাদ্যে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ফলে শিশুদের দেহে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে অন্ত্রের সমস্যা, লিভারের ক্ষতি, কিডনি বিকল হওয়া এমনকি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থাকে।
সতর্কবার্তা ও প্রশাসনের বক্তব্য
এনএসআই ময়মনসিংহ ও উপজেলা প্রশাসন সাধারণ জনগণকে নকল জুস ও শিশু খাদ্য ক্রয় ও খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা অবৈধ খাদ্য উৎপাদন ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ:
✔ দোকান থেকে অপরিচিত বা অবিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের জুস না কেনা
✔ প্যাকেটের বিএসটিআই অনুমোদনের নম্বর ও মান যাচাই করা
✔ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা ও নিরাপদ খাবার খাওয়ানো
এই ধরনের নকল শিশু খাদ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অভিযান চালিয়ে যেতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদেরও এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।