শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দির: ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু


Oplus_131072
শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দির: ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু
শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দের জয়।
ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড়ে অবস্থিত শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি তার স্থাপত্যশৈলী ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত।
ইতিহাস ও স্থাপত্য:
শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দিরটি উঁচু চূড়াবিশিষ্ট ও লাল রঙের, যা অপরূপ কারুকার্য দ্বারা সজ্জিত। মন্দিরের নামে এলাকাটির নামকরণ হয়েছে শিববাড়ী। এটি ঢাকার অন্যতম প্রাচীন, বড় ও সুন্দর মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি।
ধর্মীয় কর্মকাণ্ড:
মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয়, যেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা, কীর্তন এবং ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়। বিশেষ করে মহানাম জপ ধর্মোৎসব ও হরিনাম মহাযজ্ঞের মতো আয়োজনগুলো ভক্তদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সাম্প্রতিক আয়োজন:
মহানাম জপ ধর্মোৎসব কমিটির উদ্যোগে শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দিরে সম্প্রতি বিশ্বশান্তি ও দেশমাতৃকার মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রহরব্যাপী ধর্মীয় উৎসবে নিরবচ্ছিন্ন অষ্টকালীন লীলা কীর্তন পরিবেশিত হয়, যা ভক্তদের মাঝে আধ্যাত্মিক শক্তি ও ভগবৎপ্রেমের জাগরণ সৃষ্টি করে।
উৎসবের বিশেষ আয়োজন:

- ১১ জামুন ১৪০০ (২৪ ফেব্রুয়ারি): শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস
- ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ (৬ মার্চ) – ১৯ ফাল্গুন (১২ মার্চ): নিরবচ্ছিন্ন শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন
- ২০ ফাল্গুন (১৩ মার্চ): শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দের অফকালীন লীলা কীর্তন
- ২১ ফাল্গুন (১৪ মার্চ): মহাপ্রসাদ বিতরণ, নগর পরিক্রমা, মহাখজুর কোণ-রাগ, দীধ-মঙ্গল, মহন্ত বিদার এবং সহ্যা আরতি কীর্তন
বিশেষ কীর্তন পরিবেশক:
শ্রী অরুণ বণিক, রনি ঘোষ ও কৃষ্ণপ্রেমী ভক্তবৃন্দ এই মহোৎসবে বিশেষ কীর্তন পরিবেশন করেন। কুঞ্জ সেবায় ছিলেন শ্রী জয়ন্ত গোস্বামী ও সহনন সিংহ।
উৎসবস্থল:
📍 শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দির, গাঙ্গিনারপাড়, ময়মনসিংহ।
— মহানাম রূপ ধার্যাৎসব কমিটি শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দির, ময়মনসিংহ
শ্রীশ্রী শিববাড়ী মন্দির তার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব ও কার্যক্রম ভক্তদের আধ্যাত্মিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।