খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন, ১৪৩১

শাবান মাসে যেসব আমল বাড়িয়ে দিতেন নবীজি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৫০ অপরাহ্ণ
শাবান মাসে যেসব আমল বাড়িয়ে দিতেন নবীজি

চলছে শাবান মাস। হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম এই মাসের পরেই আসছে মহিমান্বিত মাস রমজান। রমজানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে শাবানকে ভালোভাবেই কাজে লাগাতেন প্রিয়নবীজি। অন্যদেরকেও বিশেষ আমলে উৎসাহিত করতেন। নিচে শাবান মাসে নবীজির আমলগুলো তুলে ধরা হলো।

১. রোজা রাখা
শাবানকে বলা হয় সর্বাধিক রোজা রাখার মাস। রাসুলুল্লাহ (স.) রমজান ছাড়া শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী কারিম (স.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা অন্যকোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের অল্প ক’দিন ছাড়া বলতে গেলে সারা মাসই তিনি রোজা রাখতেন। (তিরমিজি: ৭৩৭)

শাবান মাসের রোজা খুব প্রিয় ছিল নবীজির। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (স.)-এর কাছে অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে রোজা রাখা অধিক প্রিয় ছিল। তিনি রমজান পর্যন্ত রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২০৭৬)

মূলত রমজানের আগের মাস হওয়ায় অনেকে শাবানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে না। সবার মধ্যে এর গুরুত্ব তৈরি করতে রাসুল (স.) সর্বাধিক রোজা রাখতেন এই মাসে। উসামা বিন জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুল (স.)-কে জিজ্ঞাসা করি, হে আল্লাহর রাসুল, শাবান মাসে আপনি যে পরিমাণ রোজা রাখেন, সেই পরিমাণ রোজা অন্য মাসে রাখতে দেখি না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। (সুনানে নাসায়ি: ২৩৫৭)

তাই শাবান মাসে অন্যান্য নেক আমলের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী রোজা রাখার চেষ্টা করা কর্তব্য। কিন্তু রোজা রাখবে শাবান মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত। হাদিসে রমজানের এক-দুই দিন আগে রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। (দ্র. সহিহ বুখারি: ১৯১৪)

২. শবে বরাতে দীর্ঘসময় ইবাদত করা
শাবান মাসের ১৫তম রাতে ইবাদতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ ১৫ শাবানের রাতে অবতরণ করেন। অতঃপর সৃষ্টিজগতের সবাইকে ক্ষমা করেন। কেবল মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া। (ইবনে মাজাহ: ১৩৯০) অন্য হাদিসে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীকে ক্ষমা না করার কথাও এসেছে। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফায়সালা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এই রাতে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বিষয় ফায়সালা হয়।’ (সুরা দুখান: ৪)

আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইকরামা (রা.) বলেছেন, এ রাতে যাবতীয় রাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জীবিতদের তালিকা করা হয় এবং হাজিদের নাম লেখা হয়। এরপর তাতে আর বাড়ানো হয় না এবং কমানো হয় না। (তাবারি: ২১/১০)

প্রিয়নবীজি শবে বরাতে দীর্ঘ সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। হজরত আলা ইবনুল হারিছ (রহ) থেকে বর্ণিত, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (স.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসুলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (স.) তখন ইরশাদ করলেন- هذه ليلة النصف من شعبان، إن الله عز وجل يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان، فيغفر للمستغفرين ويرحم المسترحمين ويؤخر أهل الحقد كما هم ‘এটা হল অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি ৩/৩৮২-৩৮৩)

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ রাতের নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকীভাবে করণীয়। ফরজ নামাজ তো অবশ্যই মসজিদে আদায় করতে হবে। এরপর যতটুকু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার কোনো প্রমাণ হাদিস শরিফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। (দ্র. ইকতিজাউস সিরাতিল মুসতাকিম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ, পৃ. ২১৯)

৩. বেশি বেশি দান সাদকা ও কোরআন তেলাওয়াত
শাবান মাস শুরু হলে নবীজির দান-সদকা ও কোরআন তেলাওয়াতের পরিমাণ বেড়ে যেত। নবীজির দেখাদেখি সাহাবিরাও এসব নেক আমলে বিশেষ মনোযোগী হতেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, প্রিয়নবীজির সাহাবায়ে কেরাম শাবান মাসের চাঁদ দেখলে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল হয়ে পড়তেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যাঁদের ওপর জাকাত ফরজ হয়েছে, তাঁরা মালের জাকাত আদায় করে দিতেন। যাতে গরিব ও অসহায় মুসলমানদের রোজা রাখার ব্যবস্থা হয়ে যায়। বিচারকরা কয়েদিদের ডেকে শাস্তির হকদার হলে শাস্তি দিতেন, না হয় মুক্তি দিয়ে দিতেন। (লাতায়েফুল মায়ারেফ: ১/২২১)

৪. রমজানের মাসায়েল নিয়ে আলোচনা
রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম শাবান মাসে রমজানের মাসয়ালা-মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করতেন। আমাদেরও বিষয়টি নিয়ে মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়। রমজানের রোজা যেহেতু বছরে একবার আসে সেহেতু তার বিধি-বিধানগুলো অনেকের কাছে স্মরণ নাও থাকতে পারে। তাই শাবান মাসে আমাদের করণীয় হলো, রমজানের বিধি-বিধান জেনে নেওয়া। যাতে রমজানের নিয়ামত আমাদের হাতছাড়া হয়ে না যায়।

৫. শাবানের প্রত্যেকটা দিন হিসাব রাখা
রমজানের প্রস্তুতির জন্য আরেকটি উত্তম কাজ হতে পারে শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা। মুসলমানদের জন্য চন্দ্রমাসের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। অনেকেই তা রাখেন। তবে রমজানের আগমনের সঠিক হিসাব রাখার জন্য শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা সুন্দর একটি আমল। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (স.) শাবান মাসের তারিখ এতটাই মনে রাখতেন, যতটা অন্য মাসের তারিখ মনে রাখতেন না। শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন রমজানের রোজা রাখতেন। আর সেই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান ৩০তম দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা শুরু করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২৩২৭)

৬. বরকতের দোয়া
রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (স.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) দোয়া পাঠ করতেন— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাবান মাসে নবীজির অনুসরণে যত সম্ভব নফল রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। দোয়া ও ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর অভিযানে দিশেহারা ভেজাল ব্যবসায়ীরা
ময়মনসিংহে ভেজাল সেমাই কারখানায় অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস অভিযান

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ অভিযানে ধরা পড়লো ভেজাল সেমাই কারখানা। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেআইনি পন্থায় ব্যবহৃত প্যাকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা নজরদারিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক

গত তিনদিন আগে এই ভেজাল কারখানা নিয়ে একটি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে এনএসআই গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পর্যবেক্ষণের পর, আজ ০৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এনএসআই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুরো কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং নিশ্চিত করেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে না পারে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলে।

বেআইনি প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস

অভিযান শেষে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ প্যাকেট ও সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় জনগণের সামনে এটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে অন্য ভেজাল ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়।

এনএসআই-এর কড়া হুঁশিয়ারি

এনএসআই-এর কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— এ ধরনের ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“এতদিন আমরা জানতাম না, এই সেমাইগুলো এভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই কারখানার মালিকরা পালানোর সুযোগ পায়নি। আমরা চাই, এ ধরনের অভিযান চলতে থাকুক।”

শেষ কথা

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভেজাল ব্যবসায়ীদের আর রেহাই নেই। এনএসআই, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার এই যৌথ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন: ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ বিলাল হোসেন (মানিক) 

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

রিকশাচালকের ছেলে থেকে কোটিপতি: শম্ভুগঞ্জে আজহারুল-আনারুলের রহস্যময় সম্পদের পাহাড়!

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ চরহরিপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময়ের দরিদ্র রিকশাচালকের দুই ছেলে মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে কোটিপতির কাতারে পৌঁছেছে, যা এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়ের ও রহস্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক আজিজুলের দুই ছেলে—বড় ছেলে আজহারুল ও ছোট ছেলে আনারুল—রহস্যজনকভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও তাদের পরিবার দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল।

সংসারের অভাব থেকে রাতারাতি সম্পদের পাহাড়

আজহারুল আগে বাসের হেল্পার ছিলেন, আর আনারুল ছিলেন একজন বাউন্ডুলে, নেশাগ্রস্ত যুবক, যিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাদের পরিবার এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে তাদের মা একসময় এনজিও থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় জেল খাটতে বাধ্য হন। সেই একই পরিবারের ছেলেরা কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো, তা এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার-পাঁচ বছর আগে ঋণের বোঝা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল তাদের। তখন তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল তাদের দাদা দুখু মিয়ার রেখে যাওয়া মাত্র ২.৫ শতাংশ জমি। কিন্তু আজ, এই পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!

অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

বর্তমানে আজহারুল ও আনারুলের নামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে, যা তারা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ক্রয় করেছেন—

✅ শম্ভুগঞ্জের জুয়েল এসপির বাড়ির পাশে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি
✅ মেইন রোডে সাধন নামের এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি
✅ কাশেম সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি
✅ গুলু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি
✅ হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু জমি
✅ মেয়ের বিয়েতে দিয়েছেন ২০০ শতাংশ জমি
✅ ঢাকায় কিনেছেন একটি ফ্ল্যাট
✅ ময়মনসিংহ শহরের মধ্যেও একটি বাড়ি কিনেছেন
✅ ড্রাম ট্রাক ও বেকু ক্রয় করেছেন
✅ মাছের ফিশারি গড়ে তুলেছেন
✅ ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতেও কিনেছেন প্রচুর পরিমাণ জমি ও বাড়ি

স্থানীয়দের দাবি, আজহারুল ও আনারুল কখনো বাজার থেকে মাছ কেনেন না, বরং তারা বিলের মাছই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তারা এলাকার সব মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন উঠছে আয়ের উৎস নিয়ে

তাদের এত দ্রুত ধনী হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের আয়ের উৎস কী? তারা কী ব্যবসা করে? আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছে কি না? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবি করছেন, আজহারুল ও আনারুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সম্পদের বৈধতা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

Oplus_131072

মুক্তাগাছায় পরিবহন চাঁদাবাজির পুরনো রূপে নতুন মুখোশ!

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সারাফত আলী!

মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মোহাম্মদ সারাফত আলী (পিতা: নইমুদ্দিন, ঠিকানা: পাড়া টুঙ্গি, দলুয়া বিল) এখনো সেই একই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সে কৌশল বদলেছে—পুরনো রাজনৈতিক রং বদলে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবারও পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে।

একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়, এখন বিএনপি-যুবদলের অসাধু নেতাদের সঙ্গে!

বিল্লাল হোসেন সরকার, ইদু, যদু, আরব আলী, মনিরের মতো বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সারাফত আলী দীর্ঘদিন ধরে মুক্তাগাছার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে সে তখন অবৈধভাবে অর্থ আদায়, শ্রমিক ও পরিবহন মালিকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্ম করত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকতে এবার সে বিএনপি ও যুবদলের কিছু অসাধু নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক ও মালিক অভিযোগ করেছেন, সারাফত আলী এখন বিএনপির প্রভাবশালী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ঠিক আগের মতোই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবহন খাতজুড়ে আতঙ্ক, সাধারণ শ্রমিক-মালিকরা বিপর্যস্ত

মুক্তাগাছার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, সারাফত আলী ও তার গডফাদারদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না, শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। না দিলে মারধর করা হয়, গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা কোথায় যাব?”

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই চাঁদাবাজি চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই সারাফত আলীর মতো চাঁদাবাজরা বারবার রঙ বদলে টিকে যাচ্ছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলে শুধু দল বদলায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না। প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই এসব বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে!”

জনদাবি: অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন!

মুক্তাগাছার সাধারণ জনগণ, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সারাফত আলীসহ তার চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মুক্তাগাছার পরিবহন সেক্টর এক শ্রেণির চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল ও শ্রমজীবী মানুষের জীবিকাকে আরও কঠিন করে তুলবে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে, নাকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে? মুক্তাগাছার মানুষ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

ফা‌রহানা আক্তার, জয়পুরহাট : কেন্দ্র ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেছে।কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা বুধবার দুপুরের জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়,যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন,মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র ঘুষিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটি একতরফা যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তারা এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
অপরদিকে নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ সাকিল,রাকিব হাসান,শাহিন আলম,নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেনসহ প্রমুখ।

এসময় তারা অভিযোগ করেন বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন না তারাই এই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলনের শরীক সকলকে সাথে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ১৮ নারী-পুরুষ ও শিশুসহ রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক।

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:১০ পূর্বাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ১৮ নারী-পুরুষ ও শিশুসহ রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক।

মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ১৮ নারী-পুরুষ ও শিশুসহ রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক।

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে এক দালালসহ ১৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুসহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃতরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা।

এ সময় নেজাম উদ্দিন ওরফে মেহেবুব নামে এক বাংলাদেশি দালালকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া হাজম পাড়া
উদ্ধারকৃতরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ নৌঘাট এলাকা দিয়ে তাদেরকে পাচারকালে জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ নারী, ৫ শিশু ও ২ পুরুষ রয়েছে। বাকি একজন দালাল।

পুলিশে হেফাজতে থাকা উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নুরুল আলম (১৬) বলেন, ‘কুতুপালং ক্যাম্প থেকে চাকরির কথা বলে টেকনাফ নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকায় দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে দালালরা হাত-পা বেঁধে গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ৯ দিন রাখে, আজ মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নৌকায় তোলার সময় পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ দিয়ে নারী-শিশু সাগর পথে রোহিঙ্গাদের একটি দল মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছে, এমন সংবাদে সাগরপাড়ে অভিযান পরিচালানা করা হয়। এ সময় ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশি এক দালালকেও আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস

এ এ এইচ সিয়াম নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস

এ এ এইচ সিয়াম,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট  ড. মো. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ সহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার(১২ মার্চ) ইফতারের পর বিদ্রোহী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর সম্পন্নের আগেই সিট বাতিল ও শিক্ষার্থীকে অপমানের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত ইফতার বয়কট করে বিদ্রোহী হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে গেস্ট হাউজের সামনে অবস্থান নিয়ে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিসমূহ হলো-

১. শিক্ষার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অপমানজনক শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রভোস্ট স্যার দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উনার স্থলাভিষিক্ত কোন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং এরূপ আচরণের জন্য প্রভোস্ট স্যারকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে হবে।

২.স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতির জন্য রেজাল্ট পরবর্তী ৩ মাস সময় দিতে হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যেকোনো আয়োজনে (বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ইফতার) আবাসিক এবং অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

৪.সকল হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে এবং হলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা (বিনামূল্যে ওয়াইফাই ও ভাত-ডাল, উন্নতমানের খাবার এবং নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে হবে।

পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আগামী রবিবারের মধ্যে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।

এ এ এইচ সিয়াম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসী হামলা সাংবাদিক ও তার মা আহত, ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসী হামলা সাংবাদিক ও তার মা আহত, ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসী হামলা সাংবাদিক ও তার মা আহত, ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর সদর, থানা ক্যাম্পাস এবং উপজেলা কার্যালয়ের অনতি দূরে পূর্বদিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাকড়াই এলাকায় ১১ মার্চ’২৫ দুপুর সাড়ে ১২ টায় ২৫/৩০ জনের ভাড়াটে সংঘবদ্ধ বেআইনি জনতার একটি দল প্রতিবেশী ইসমাইলের পুত্র সিরাজের নেতৃত্বে শমসের আলীর বসত বাড়িতে আক্রমন ও হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ শমসের আলীর স্ত্রী জয়গুন (৫৫) বেগম ও পুত্র সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম (২৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারপিট, মারাত্মক রক্তাক্ত জখম, আহত করে।

আরজির বর্ননা ও শমসের পুত্র বাদি নাসিরের অভিযোগে জানা যায় চাঁদাবাজদের দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় সিরাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করায় ক্ষতি ৮০ হাজার, গরু বিক্রির নগদ টাকা চুরি সাড়ে ৩ লাখ, ৫০ হাজার টাকার খড় পুড়ে ভস্মিভুত করায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখমি সাংবাদিক ও তার বৃদ্ধা মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানতে পেরে বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল গফুর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নেন এবং বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় ১৪(৩)২০২৫ নম্বর মামলা রেকর্ড করেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ কোন আসামি গ্রেফতার বা লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।