
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির ঘরে ওঠা-নামা করছে। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। গত কয়েক দিন ধরে হাড়কাঁপানো শীত জেলার সর্বত্র জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের প্রকোপ। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। মাঘ মাসের এ সময়ে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। হালকা বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।