ময়মনসিংহে জামিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব থেকে নতুন বিতর্ক: আওয়ামী প্রভাবের ছায়ায় ডিসি প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তেজনা
ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহে শিক্ষক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব এখন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিতর্কে রূপ নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে—স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনে ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে, যার লক্ষ্য মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব দখল।
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগকে কেন্দ্র করে মাদরাসায় অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছানো যায়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের সক্রিয় সংশ্লিষ্টতা দেখা দিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
মাদরাসার একটি অংশ সরাসরি অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে পরিচালনা পর্ষদে তাদের ঘনিষ্ঠদের বসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মফিদুল আলম এ ঘটনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা না রেখে একপক্ষের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন।
এমন অভিযোগ তুলে ওই পক্ষ প্রকাশ্যে ডিসি’র অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং বলেছে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে, প্রশাসনিক সূত্র বলছে, জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং কোনো উস্কানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদরাসা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং গোটা পরিস্থিতি গোয়েন্দা তদারকির আওতায় আনা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাব বিস্তার দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। প্রশাসনকে এখন “দৃঢ়, স্বচ্ছ ও দলনিরপেক্ষ” অবস্থান নিতে হবে নইলে এ ঘটনার জেরে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, মাদরাসা প্রাঙ্গণে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারিতে আছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ । ১:৩২ অপরাহ্ণ