
ময়মনসিংহের ৩২ নং ওয়ার্ড: সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির ঘাঁটিতে পরিণত – প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
ময়মনসিংহের চরাঞ্চলের ৩২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া এখন সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, খুন ও কিশোর গ্যাংয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ জনগণ ও কোমলমতি কিশোরদের বিপথে ঠেলে দিয়ে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে একটি চক্র পুরো ওয়ার্ডকে সন্ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে।
এই সন্ত্রাসের নেপথ্যে কে?
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাহবুব হোসাইন মাসুদ নামে এক ব্যক্তি এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের মূল কারিগর। সামান্য একজন ড্রাইভারের ছেলে হয়ে সে কীভাবে এত বড় অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলল, তা এখন খতিয়ে দেখা দরকার।
শুরুতে টুর্নামেন্ট ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজি শুরু করে মাসুদ। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকরা যুক্ত হয় এবং তারা পুরো ওয়ার্ডজুড়ে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি চালাতে থাকে। তাদের সংসারের ব্যয় মেটানো হত চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে।
পরবর্তীতে মাসুদ নিজের ভাতিজাকে (তার মৃত বড় ভাইয়ের ছেলে) গ্যাং লিডার বানিয়ে অপরাধের জগতে পুরোপুরি প্রবেশ করে। এরপর থেকেই শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ, রেলব্রিজের নিচে ছিনতাই, চুরি ও লুটপাট চালানো হয় তাদের নেতৃত্বে।
রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও অপরাধের বৈধতা!
মাসুদ স্থানীয় ৪ আসনের এমপি মোহিত উর রহমান শান্তর ছত্রছায়ায় গিয়ে রাজনৈতিক পদবি গ্রহণ করে। এরপর থেকে যেন চুরি, ছিনতাই, লুটপাট ও খুনের লাইসেন্স পেয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাকে ভুয়া খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় এবং তার বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়।
এই মাসুদ শুধু সন্ত্রাসীই নয়, বিচার-শালিসেও টাকা খেয়ে উল্টো রায় দেয়। তার এক ভাই পুলিশের চাকরির প্রভাব খাটিয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। রাজনৈতিক উচ্চপদ লাভের আশায় নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য নিরীহ মেয়েদের ব্যবহার করে।
মাসুদের অপরাধের প্রমাণ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা
✅ জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলায় সরাসরি অস্ত্র হাতে নেতৃত্ব দিয়েছে মাসুদ ও তার দল।
✅ তার নেতৃত্বে এলাকায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লুটপাট চালানো হয়।
✅ তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই পুলিশি হয়রানির শিকার হয়।
✅ রাজনৈতিক মোড়ক বদলে জামায়াতের ছত্রছায়ায় ঢোকার চেষ্টা করছে।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
ময়মনসিংহ প্রশাসন কেন এখনো এই মাসুদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি? কেন সে আইনের আওতার বাইরে? প্রশাসনকে অবিলম্বে তদন্ত করে এই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এই ধরনের অপরাধীরা শুধু ৩২ নং ওয়ার্ড নয়, পুরো দেশের জন্য হুমকি। জনগণের প্রতি আহ্বান—
⛔ এই চক্রের অন্যায় মেনে নেবেন না।
⛔ প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
⛔ স্বাধীনতা রক্ষায় এসব রাজাকারদের চিহ্নিত করুন।