
চর হরিপুরে রাজ্জাক মিয়ার মাদকের রাজত্ব: মাসোহারায় নীরব প্রশাসন, যুবসমাজ ধ্বংসের পথে
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের চর হরিপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এখানে অবাধে চলছে মাদক কেনাবেচা। বিশেষ করে চর হরিপুর আলিয়া মাদ্রাসার পাশেই বসবাসকারী রাজ্জাক মিয়া (৪০) ও তার ছেলে রমজান এই মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা।
মাদকের করাল গ্রাসে যুবসমাজ
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এই মাদক ব্যবসার কারণে চর হরিপুরসহ আশপাশের এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন তরুণ মাদকের জগতে প্রবেশ করছে, ফলে পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের দাপট ও মাসোহারায় নীরব প্রশাসন!
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মাদক ব্যবসার পেছনে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার মদদ রয়েছে। ফলে প্রশাসন সবকিছু জানলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং একাধিকবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেককে গ্রেফতার করা হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর প্রশ্ন—তবে কি প্রশাসন মাসোহারা খাচ্ছে? নাকি ক্ষমতার ছত্রছায়ায় এসব অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে?
মাদকের ভয়াবহ পরিণতি
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদক শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়, পুরো সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকের কারণে পারিবারিক অশান্তি বৃদ্ধি পায়, অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়, কর্মক্ষম যুবসমাজ অকর্মণ্য হয়ে পড়ে, এবং মাদকাসক্তদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে দিতে পারে।
এলাকাবাসীর আহ্বান
চর হরিপুরের সাধারণ জনগণ প্রশাসনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে, এই মাদক চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি এলাকায় মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। জনগণের প্রত্যাশা, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং যুবসমাজকে এই মাদকের অভিশাপ থেকে রক্ষা করবে।