
রমজানে হস্তমৈথুনের প্রভাব: রোজা ভাঙবে কি না?
রমজান ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র মাস, যেখানে আত্মসংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করা হয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, যদি কেউ এই সময়ে হস্তমৈথুন করে, তাহলে তার রোজার কী হবে? ইসলামিক বিধান অনুযায়ী বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
রোজা অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে কী হয়?
শরিয়াহ মতে, রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তমৈথুন করলে এবং বীর্যপাত হলে রোজা ভেঙে যায়। এ ক্ষেত্রে শুধু কাযা (পুনরায় ওই রোজা রাখা) করতে হবে, তবে কাফফারা (একাধারে ৬০ দিন রোজা রাখা বা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো) লাগবে না। যদি বীর্যপাত না হয়, তবে রোজা ভাঙবে না।
রাতে হস্তমৈথুন করলে কী রোজার কোনো সমস্যা হয়?
রমজানের রাতে হস্তমৈথুন করলে পরবর্তী দিনের রোজা রাখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ইসলামি শিক্ষা অনুযায়ী, এটি পরিহার করাই উত্তম।
সংযম রক্ষার উপায়
- বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ ও জিকির করা।
- অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা ও চোখ-মনের সংযম রাখা।
- একাকী না থেকে ধর্মীয় পরিবেশে সময় কাটানো।
- সেহরি ও ইফতারে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা এবং সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ করা।
উপসংহার
রমজান সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস, যেখানে শারীরিক ও মানসিক পবিত্রতা বজায় রাখা জরুরি। রোজা থাকা অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে রোজা ভেঙে যায়, তবে রাতে করলে পরবর্তী রোজায় কোনো প্রভাব পড়ে না। ইসলামিক বিধান অনুসারে, সর্বদা পবিত্রতা রক্ষা করাই শ্রেয়।