নওগাঁয় সড়কে গাছ ফেলে ভয়াবহ ডাকাতি
শাকিল হোসেন পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি বাস ও মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দাবি করছে, ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের পত্নীতলা উপজেলার মানাষী ও করমজাইয়ের মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের কবলে পড়া বিআরটিসি বাসের সুপার ভাইজার রতন কুমার সাহা জানান, রাজশাহী থেকে তাদের বাসটি পোরশার নিতপুরের উদ্দেশ্যে রাত পৌনে ৯টার দিকে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলা দেখে বাসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়। এতে বাসটির পাশাপাশি একটি মাইক্রোবাসও আটকা পড়ে। এরপর একদল মুখোশধারী দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে বাসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, ৭ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন, নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
রতন কুমার সাহা বলেন, বাসের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটিতেও ডাকাতরা হানা দেয়। তারা মাইক্রোবাসটির চালককে মারধর করে মালামাল লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
তবে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান দাবি করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ার কারণে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘আসলে সড়কে গাছ ফেলে বাসে ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।’
এ নিয়ে পত্নীতলা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান বলেন, এটা আসলে খুব সরু রাস্তা। বিআরটিসির বাসটি সাপাহারের দিকে যাচ্ছিল। গাছ ফেলে রাস্তায় ব্লক দেওয়া হয়েছিল। পেছনে পুলিশের গাড়িও ছিল। যাত্রীদের কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়েছে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
এদিকে, ওসি এনায়েতুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় যাত্রীদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।