
চকরিয়া থানার বিতর্কিত ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত, সাংবাদিককে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার তদন্ত শুরু করেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ রাতে, চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়ার নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার মনছুর আলম মুন্নাকে কক্সবাজার সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে গিয়ে মুন্নার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় এবং মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়।
ওসি নিজেই বাদী এবং রেকর্ডিং কর্মকর্তা হয়ে মুন্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় চকরিয়া থানা এলাকায় তীব্র প্রতিবাদ এবং সমালোচনার সৃষ্টি হয়, যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ২১ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে, নির্যাতিত সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়া সহ আরও ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পক্ষ থেকে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রধান সম্পাদক খায়রুল আলম রফিকও তদন্তের জন্য অভিযোগ দাখিল করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের বিশেষ তদন্ত টিম চকরিয়া থানায় গঠন করা হয় এবং তারা ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তের একটি বিশেষ টিম ২৪ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না ও অন্যান্য ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি সংগ্রহ করতে চকরিয়া সার্কেল এসপি রকিব’রেজাকে নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার পুলিশ সুপার রহমতুল্লাহ সহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে ইয়াবা কাণ্ডের অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। তবে, চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তিনি এখনও পদে বহাল আছেন। বলা হচ্ছে, তিনি ২ কোটি টাকা দিয়ে থানায় পোস্টিং পেয়েছেন, তবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়া এই বিষয়ে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি।
এখনো চকরিয়া থানা এবং কক্সবাজার জেলার জনগণের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা চলছেই, এবং পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম সামনে আরও নতুন তথ্য উদঘাটিত হতে পারে।