
পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে দখলদারিত্ব! স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার হুমকি, মোটা অংকের চাঁদা দাবি!
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ সদরে পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, প্রাণনাশের হুমকি ও মোটা অংকের চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোঃ আজহারুল ইসলাম ও মোছাঃ নিবেদিতা নার্গিস ইসলাম জানান, একটি সন্ত্রাসী চক্র তাদের বৈধ মালিকানাধীন জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তারা মিথ্যা মামলা, এনকাউন্টারের ভয় দেখিয়ে ভয়ঙ্করভাবে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে।
দখলদার চক্রের তালিকা
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অপরাধে জড়িতরা হল—
- মোঃ এরশাদ হোসেন (৪৮)
- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০)
- মোছাঃ মাহফুজা খাতুন (৩৫), স্বামী- মোঃ এরশাদ হোসেন
- মোছাঃ রওশনারা বেগম (৩৪), স্বামী- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন
- অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন সন্ত্রাসী
এরা সবাই ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনের লোক বলে জানা গেছে।
বেপরোয়া দখলবাজি ও সন্ত্রাসী হামলা
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা বৈধ দলিলের মাধ্যমে কোতোয়ালী থানাধীন রহমতপুর এলাকার বৈশাখাই মৌজায় ২৩ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছেন। সেখানে উঁচু ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা স্থাপনা ছিল। কিন্তু ১০ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১০টার দিকে, অভিযুক্ত চক্রটি সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে জোরপূর্বক জমিতে প্রবেশ করে। এরপর ইট, সুরকী ফেলে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায় এবং স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলে।
পুলিশের গাড়ি ও পরিচয়ে ভয়ভীতি, চাঁদাবাজির অভিযোগ
অভিযোগ আরও গুরুতর!
এই চক্র পুলিশের সিআইডি ফরেনসিক গাড়ি ব্যবহার করে এবং নিজেদের এএসআই পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। তারা মিথ্যা মামলা ও এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
প্রাণনাশের হুমকি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের পরিকল্পনা
পরবর্তীতে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ১০টায়, অভিযুক্তরা আরও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে জমি দখলের চূড়ান্ত চেষ্টা চালায়। তারা ভুক্তভোগী দম্পতিকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, এই চক্র এখন বড় ধরনের অপরাধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনের ভূমিকা কী?
ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং জমির দখল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই ভয়ঙ্কর চক্রের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, নাকি পুলিশের নাম ব্যবহার করে অপরাধ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় এই দুর্বৃত্তরা!