ফতুল্লায় চাঁদাবাজির সময় গণধোলাই: যুবলীগ নেতা আজমত আলীর ঘনিষ্ঠ কর্মী পুলিশের হাতে!


ফতুল্লায় চাঁদাবাজির সময় গণধোলাই: যুবলীগ নেতা আজমত আলীর ঘনিষ্ঠ কর্মী পুলিশের হাতে!
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে হৃদয় ও রাহাদুল ইসলাম রবিন নামে দুই কুখ্যাত চাঁদাবাজ। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে চালকদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা।
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদের পাল্টা আক্রমণ
চাঁদাবাজরা চালকদের মারধর করলে ঘটনাস্থলে ছাত্র সমন্বয়করা পৌঁছায়। তখন হৃদয় ও রবিন তাদের দলবল নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা দিকবিদিক ছুটতে বাধ্য হয়। হৃদয় পালিয়ে গেলেও ছাত্রদের হাতে ধরা পড়ে রবিন, যার পরিণতি হয় ভয়াবহ গণধোলাই। পরে উত্তেজিত ছাত্ররা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অপরাধ জগতের ‘মাস্টারমাইন্ড’ রবিন
রাহাদুল ইসলাম রবিন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লার বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, ফিটিং বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা, ওয়াইফাই ব্যবসা ও নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। স্থানীয়রা জানায়, সে যুবলীগ নেতা আজমত আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিল এবং এই পরিচয় কাজে লাগিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করত।
পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা
ঘটনার পর রবিনকে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও রাতেই একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন ভূমিকা চাঁদাবাজদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
ফতুল্লায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যথায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হতে থাকবে।